আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মুসলমানদের ধর্মীয় পোশাক হিজাব নিয়ে মার্কিন সামরিক বাহিনীর এক নীতিনির্ধারণী পত্রে আপত্তিকর মন্তব্য করা হয়েছে। ‘চরম সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ: বৈজ্ঞানিক উপায় ও নীতি’ শীর্ষক ওই পত্রে মুসলিম নারীদের হিজাব নিয়ে রীতিমত কটুক্তি করা হয়েছে।
গত গ্রীষ্মে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা জাতীয় সন্ত্রাসবাদ নীতি প্রণয়নের ঘোষণা দেওয়ার পর নতুন করে প্রকাশ করা হয়। ধর্মীয় পোশাক নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় ক্ষুদ্ধ হয়েছেন মুসলমানরা।
২০১১ সালে এয়ারফোর্স রিসার্চ ল্যাবরেটরি এই নীতিনির্ধারণী পত্রটি প্রথম প্রকাশ করেছিল। গত জানুয়ারিতে এর সংশোধিত সংস্করণ পাবলিক ইন্টেলিজেন্স নামে একটি উন্মুক্ত গবেষণাবিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়েছে, মুসলমান নারীরা যে হিজার পরিধান করেন, তা পরোক্ষ সন্ত্রাসবাদে মদদ জোগায়।
বুধবার মার্কিন অনলাইন প্রকাশনা দ্য ইন্টারসেপ্ট ওই নীতিনির্ধারণী পত্রটির বরাত দিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
নীতিনির্ধারণী পত্রটিতে বলা হয়, যারা হিজাব পরিধান করে এবং যারা সন্ত্রাসবাদের প্রতিবাদ করে না, তাদের সঙ্গে জঙ্গিবাদের সম্পর্ক রয়েছে। ধর্মীয় পোশাকের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের একটি সম্পর্ক রয়েছে।
সেই সূত্রে হিজাব পরোক্ষ সন্ত্রাসবাদে মদদ জোগায়। হিজাবের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের সম্পর্ক বিষয়ক এই তত্ত্বটি প্রদান করেছেন তৌফিক হামিদ নামে স্বঘোষিত এক ধর্ম সংস্কারক।
তবে ‘তথাকথিত এই ইসলামি চিন্তাবিদ ও সংস্কারক’ কিসের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছালেন, সে ব্যাপারে কোনো কিছুই জানাননি।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস