আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভয়াবহ ভূমিকম্পে মিয়ানমারে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৬০০ জনে। আহতের সংখ্যা ৫ হাজারের বেশি। পুরোদমে চলছে উদ্ধারকাজ। ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মান্দালয়ে ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও মিলছে মরদেহ। তবে যুদ্ধের কারণে বহু এলাকায় ত্রাণ পৌঁছানো যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
গত ২৮ মার্চ স্থানীয় সময় দুপুরে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার মহাশক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মিয়ানমার। ভূমিকম্প আঘাত হানার সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও দেশটির পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। ভূমিকম্পের পর বহুবার আফটারশক হয়েছে বলে জানায় দেশটির আবহাওয়া বিভাগ।
রাজ্য প্রশাসন পরিষদের তথ্য দলের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, সোমবার (৭ এপ্রিল) পর্যন্ত মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩ হাজার ৬০০ জনে দাঁড়িয়েছে। অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল আরও মৃতদেহ খুঁজে বের করার জন্য কাজ করছেন।
জানা যায়, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মান্দালয় অঞ্চলে এখনও চলছে উদ্ধার তৎপরতা। ধসে পড়া ভবনের নিচে থেকে এখনও উদ্ধার করা হচ্ছে মরদেহ। এর মধ্যে তীব্র বৃষ্টিপাত ও ঝড়ের মধ্যে অনেকে এখনো খোলা আকাশের নিচে বাস করছেন। কিছু এলাকায় অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করেছে চীনের উদ্ধারকর্মীরা। মান্দালয়ের দুইটি স্টেডিয়ামে বসবাস করছেন বহু মানুষ।
চীন থেকে এসেছে তৃতীয় দফার মানবিক সহায়তা। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চীনা বিশেষজ্ঞরা প্রায় ৯০০ ভবনের অবকাঠামো পর্যবেক্ষণ করেছেন। দুপক্ষ সাময়িক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিলেও ভূমিকম্প মোকাবিলায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ জান্তা ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষ। জাতিসংঘ বলছে, যুদ্ধের কারণে বহু এলাকায় পৌঁছানো যাচ্ছে না ত্রাণ।
গৃহযুদ্ধ, দুর্যোগ আর দারিদ্র্যের ত্রিমুখী সঙ্কটে বিপর্যস্ত মিয়ানমার এখন পুরোপুরি নির্ভরশীল আন্তর্জাতিক সহায়তার ওপর। সহিংসতা না থামলে এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি অসম্ভব বলে মনে করছেন মানবিক সংস্থাগুলো।