এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : তিন বছরে জার্মান নাগরিকত্ব ও দেশটির পাসপোর্ট পাওয়ার বিধান বাতিল করতে যাচ্ছে নতুন জোট সরকার। নির্বাচনে দেশটির রক্ষণশীল রাজনৈতিক দল সিডিইউ-সিএসইউ এবং প্রগতিশীল দল এসপিডি-এর জোট সরকারের রূপরেখায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
তিন বছরে পাসপোর্ট পাওয়ার আইনটি সংস্কার করা হলেও প্রচলিত নিয়মে পাঁচ বছর পর নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারেন বৈধ যেকোন অভিবাসী।
জার্মানিতে গেল ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে রাজনৈতিক দলগুলোর অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিল দেশটির অভিবাসন আইনে কড়াকড়ি আরোপ।
এরই ধারাবাহিকতায় মাত্র তিন বছরে নাগরিকত্ব দেয়ার সাবেক চ্যান্সেলর শলৎজের নেতৃত্বে তিন দলের জোট সরকারের করার আইনটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া রাজনৈতিক দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন এবং বায়ার্ন অঙ্গরাজ্যে তাদের শরিক ক্রিশ্চিয়ান সোশ্যাল ইউনিয়ন ও নির্বাচনে তৃতীয় সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি এসপিডি।
নতুন জোট সরকারের প্রস্তাবিত রূপরেখায়, প্রচলিত অভিবাসন আইন সংস্কারের অংশ হিসেবে দেশটিতে বসবাসরত বিদেশিরা বৈধভাবে বসবাসের পাশাপাশি কাজকর্ম, নিয়মিত কর প্রদানসহ দেশটির সমাজে একীভূত হওয়া এবং জার্মান ভাষার লেভেল সি ওয়ান থাকলেও এখন আর তিন বছরে জার্মানির পাসপোর্ট বা নাগরিকত্ব পাবে না।
অভিবাসনবান্ধব দেশটিতে রক্ষণশীল জোট সরকারের এমন প্রস্তাবে নাখোশ প্রবাসী বাংলাদেশিরা। গেল ২৩ ফেব্রুয়ারী নির্বাচনের আগে অভিবাসন নীতি কঠোর করার আগেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলেন জার্মানির সম্ভাব্য চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎস ও সিএসিউর মার্কুস সোয়েডারসহ দেশটির রক্ষশীল দলগুলো।
জোটের রূপরেখায় তিন বছরের মধ্যে জার্মানির নাগরিকত্ব আইনটি সংস্কার প্রসঙ্গে জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ জানায়, সাবেক চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজের নেতৃত্বে তার জোটের সরকারের এটি ছিল ভুল অভিবাসন নীতি। একজন বিদেশী নাগরিক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ও তার সমস্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করতে তিন বছর যথেষ্ট সময় নয়।
তিন বছরে পাসপোর্ট পাওয়ার আইনটি সংস্কার করা হলেও প্রচলিত নিয়মে পাঁচ বছর পর নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারেন বৈধ যেকোন অভিবাসী। একইসঙ্গে দ্বৈত নাগরিকত্বের বিধানটিও আপাতত বহাল রাখার কথা জানান জোটের নেতারা।
এদিকে জার্মানিতে নানা অপরাধে অভিযুক্ত, অবৈধ ও অনিয়মিত এবং রাজনৈতিক আশ্রয় পেতে ব্যর্থ আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও সিরিয়াসহ অন্যান্য দেশের নাগরিকদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন সিডিইউএর শীর্ষ নেতা থরস্টেন ফ্রাই।