শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬, ১০:১৮:৩২

স্মৃতি ইরানিকে সেই কথাটি বলার সাহস পাননি বিজেপি নেতা

স্মৃতি ইরানিকে সেই কথাটি বলার সাহস পাননি বিজেপি নেতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রোহিত ভেমুলার আত্মহত্যা এবং জেএনইউ ইস্যু নিয়ে সংসদে মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির আক্রমণাত্মক বক্তব্য নজর কেড়েছে বিজেপির। ফলে আগামী বছর উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে স্মৃতিকেই বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করার জন্য প্রস্তাব উঠেছে।

এ নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে উত্তর প্রদেশ রাজ্য বিজেপিতে।  সম্প্রতি ওই রাজ্যে বিজেপির সভাপতির পদে স্মৃতিকে দেখতে চেয়ে ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন আমেঠির কিছু দলীয় কর্মী।  যদিও অমিত শাহের ব্যক্তিত্বের কথা মাথায় রেখে এমন কথা তার সামনে বলার সাহস পায়নি বলে জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির এক শীর্ষ নেতা।

সংসদে স্মৃতির বক্তব্যে দলীয় কর্মীরাই শুধু উদ্বুদ্ধ হয়েছেন এমন নয়, তার জনপ্রিয়তাও বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে উত্তর প্রদেশে।  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইটারে নিজের অ্যাকাউন্টে সংসদে স্মৃতি ইরানির বক্তব্যের ভিডিও শেয়ার করায় মনোবল বেড়েছে বিজেপির স্মৃতি শিবিরে।  

আমেঠির বিজেপি নেতা দুর্গেশ ত্রিপাঠী স্মৃতির মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে প্রচার পরিকল্পনাও সেরে ফেলেছেন।  তার মতে, আমেঠির দলীয় নেতাদের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠক করেছি।  খুব শিগগিরই আমরা প্রচারে নামব।  

খবর : কলকাতা২৪

কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি আমেঠির সাংসদ রাহুল গান্ধীর থেকেও ওই এলাকায় বেশি কাজ করেছেন বলে দাবি করেছেন দুর্গেশবাবু। যদিও রাজনীতিতে অনভিজ্ঞ স্মৃতিকে মুখ্যমন্ত্রী পদের লড়াইয়ে নামিয়ে দেয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেক বিজেপি নেতা।

এ বিষয়ে স্মৃতি শিবিরের বক্তব্য, মহিলা মহলে জনপ্রিয়তায় নিরিখে মায়াবতীর থেকে স্মৃতি অনেক এগিয়ে আছেন।  স্মৃতির রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছে ২০১৪ সালে।  সেই কারণে স্মৃতির পুরনো রেকর্ড নিয়েও প্রশ্ন তুলতে পারবে না বিরোধীরা।

ওই রাজ্যে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর দৌড়ে আছেন লখনোউয়ের মেয়র দীনেশ শর্মা, গোরক্ষপুরের সাংসদ মোহন আদিত্যনাথ এবং সুলতানপুরের সাংসদ তথা গান্ধী পরিবারের সদস্য বরুণ গান্ধী।

উত্তর প্রদেশে বর্তমানে সমাজবাদী পার্টি পরিচালিত অখিলেশ যাদব সরকার চালাচ্ছে।  ২০১২ সালে মুলায়ম সিং যাদবের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল সমাজবাদী পার্টি।  

যদিও বর্তমান শাসকদলকে নিয়ে চিন্তিত নয় উত্তর প্রদেশের পদ্ম শিবির। তাদের যুক্তি,  উত্তর প্রদেশে আমাদের ৭৩ জন সাংসদ আছেন।  প্রধানমন্ত্রীও এ রাজ্য থেকেই নির্বাচিত হয়েছেন।  ২০১৭ বিধানসভা নির্বাচনে জিততে খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা না।
২৭ ফেব্রুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে