আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ট্রেনযাত্রার সময় আহত হয়েছেন। এমনকি তাকে তার নির্ধারিত আসনে খুঁজে না পেয়ে তিন ঘণ্টার তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। এরপর তাকে ভিন্ন এক ট্রেন থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র ও স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার আনন্দবাজার পত্রিকা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, দিল্লি থেকে মধ্য প্রদেশের জবলপুর যাচ্ছিলেন দেশটির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জুয়েল ওরাও। গন্ডোয়ানা এক্সপ্রেসে শনিবার রাতে রওনা দেন তিনি। হজরত নিজামউদ্দিন স্টেশন থেকে ট্রেনে চড়তে দেখা যায় তাকে। কিন্তু রবিবার দামোহ স্টেশনে তার আসন খালি দেখে হলুস্থুল পড়ে যায়।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে তার সংরক্ষিত আসনে খুঁজে না পেয়ে রেলের কর্মকর্তা ও নিরাপত্তারক্ষীরা তল্লাশি অভিযান শুরু করেন।
রেল সূত্রের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, তিন ঘণ্টা তল্লাশির পর ১৬২ কিলোমিটার দূরে মধ্য প্রদেশের সিহোরা স্টেশনে সম্পর্কক্রান্তি এক্সপ্রেসের বি৩ কোচের ৫৭ নম্বর বার্থে আহত অবস্থায় মন্ত্রীকে পাওয়া যায়।
সিহোরার রেল সুরক্ষা বাহিনী (আরপিএফ) কর্মকর্তা রাজীব খরব দ্য লল্লনটপকে জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গত ৩ মে দিল্লি থেকে গন্ডোয়ানা এক্সপ্রেসে ওঠেন। রবিবার ভোর পৌনে ৪টা নাগাদ মধ্য প্রদেশের দামোহ স্টেশনে ট্রেন থামে।
মন্ত্রীর রক্তের শর্করার মাত্রা (সুগার লেভেল) কমে গিয়েছিল। তিনি খাওয়ার জন্য স্টেশনে নামেন। তখনই ট্রেন ছেড়ে দেয়। ওই অবস্থায় তিনি ট্রেনে ওঠার চেষ্টা করলে পা পিছলে প্ল্যাটফরমেই পড়ে যান। তখন সামান্য চোট পান।
ওই স্টেশনেরই পাশের প্ল্যাটফরমেই ছিল সম্পর্কক্রান্তি এক্সপ্রেস। সেই ট্রেনে উঠে পড়েন মন্ত্রী। মন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষী ও কর্মীরা যখন তাকে গন্ডোয়ানা এক্সপ্রেসের নির্ধারিত আসনে খুঁজে পাচ্ছিলেন না, তখনই তারা রেল কর্মকর্তা ও আরপিএফকে খবর দেন।
আরপিএফ কর্মকর্তা আরো জানান, ট্রেন ও রেললাইন বরাবর তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। তিন ঘণ্টা ধরে চলে তল্লাশি। অবশেষে সম্পর্কক্রান্তি এক্সপ্রেস থেকে মন্ত্রীকে উদ্ধার করা হয়। তারপর তাকে জবলপুর সার্কিট হাউসে নিয়ে যাওয়া হয়। তার চিকিৎসা করানো হয়।
এই ঘটনায় মন্ত্রীর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে পশ্চিম-মধ্য রেলের মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা হর্ষিত শ্রীবাস্তব এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, মন্ত্রীর এই পরিস্থিতির কথা জানার পরই রেল তৎপরতার সঙ্গে পদক্ষেপ করেছে। তাকে সিহোরা থেকে জবলপুরে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হয়।