আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সন্ধ্যা হতেই আবারও গোলাবর্ষণ শুরু করল পাকিস্তান। আবার ‘ব্ল্যাকআউট’ হলো জম্মু-কাশ্মীরের বিস্তীর্ণ অংশ। শুক্রবার (৯ মে) সন্ধ্যায় দুটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে বলে একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রের বরাতে এ খবর জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা।
প্রতিবেদনে কলকাতাভিত্তিক এই দৈনিক জানায়, ইতোমধ্যে উরি, কাপওয়াড়া এবং পুঞ্চে উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। জম্মুতে বাজছে সাইরেন। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে অম্বলাতেও ‘ব্ল্যাকআউট’। অন্যদিকে দেশের ২৪টি বিমানবন্দর আগামী ১৫ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
শুক্রবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিস্রি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ভারতের বিভিন্ন স্থানে আক্রমণ করেছে পাকিস্তানি সেনারা। তাদের লক্ষ্য ছিল ভারতের সেনাঘাঁটি থেকে বসতি এলাকা। যার প্রেক্ষিতে ‘উপযুক্ত জবাব’ দিয়েছে ভারতীয় সেনারা। তবে সন্ধ্যা হতেই আবার উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা স্বয়ং জানাচ্ছেন, বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের আইডিতে ওমর আবদুল্লা লেখেন, ‘এখন জম্মুতে ব্ল্যাকআউট। শহরজুড়ে সাইরেনে শব্দ শোনা যাচ্ছে।’
সেই সঙ্গে অন্ধকারাচ্ছন্ন আকাশের একটি ছবি দিয়েছেন ওমর আবদুল্লা।
এদিকে পাকিস্তান থেকে একের পর এক হামলা হয়েছে বলে দাবি করে আসছে ভারত। দেশটির দাবি, গত রাতে অন্তত ৫০০ ড্রোন পাঠিয়েছে পাকিস্তান।
এমন পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারির নির্দেশ দিয়েছে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শুক্রবার আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে জরুরি অবস্থাকালীন ক্ষমতা বলবৎ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার দেশের সব রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসকদের এ সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়েছে। এতে ১৯৬৮ সালের অসামরিক প্রতিরক্ষা বিধির ১১ ধারায় প্রদত্ত জরুরি অবস্থার ক্ষমতা জারি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টিভি৯ বাংলা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এক সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর কর্নেল সোফিয়া কুরেশি বলেন, পাকিস্তান বৃহস্পতিবার ভারতের সেনাছাউনিকে নিশানা করার চেষ্টা করা হয়েছে। এ সময় ভারতের আকাশসীমাও লঙ্ঘন করার চেষ্টা করেছে তারা। এমনকি নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) ক্রমাগত গোলাবর্ষণ করেছে পাকিস্তানের সেনারা।