আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের মহারাষ্ট্রের থানেতে নিজের পরিবারের সাত শিশুসহ ১৪ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করেছে এক যুবক। আজ (রোববার) ভোরে থানের কাসরওয়াড়ি এলাকার একটি বাড়ি থেকে ১৫ জনের লাশ উদ্ধার হওয়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। রেডিও তেহরানের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা যায়।
সংবাদে প্রকাশ, হাসনীল ওয়ারেকর অথবা হাসান আনোয়ার ওয়ারেকর নামে ৩২ বছর বয়সী এক যুবক ধারালো অস্ত্র দিয়ে পরিবারের ১৪ জনকে গলা কেটে খুন করার পরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। নিহতদের হাসানের স্ত্রীসহ ৬ জন মহিলা রয়েছে।
থানের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার আশুতোষ ডুমরে জানান, ‘আমরা এখনো খুনের সঠিক কারণ জানতে পারিনি। তবে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, পারিবারিক সম্পত্তিগত বিবাদের কারণে এই খুন।’
তিনি বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় এক মহিলাকে উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত মহিলা সুস্থ হলে তাকে জেরা করে আরও অনেক তথ্য সামনে আসবে বলে আশা করছি।’
প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, প্রথমে সবাইকে বেহুঁশ করে ফেলা হয় এবং পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে সবাইকে খুন করা হয়। যদিও খুনের কারণ এখনো স্পষ্ট হয়নি।
একটি সূত্রে প্রকাশ, শনিবার রাতে পরিবারের সদস্যরা একটি অনুষ্ঠান উপলক্ষে সমবেত হয়েছিলেন। রাত একটা নাগাদ ওই বাড়ি থেকে চিৎকারের আওয়াজ পেয়ে প্রতিবেশীরা সেখানে জড়ো হন। দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকির পরে দরজা না খোলা হলে তারাই পুলিশকে খবর দেন। অভিযুক্ত হাসান নামে ওই যুবকের লাশ ছুরি হাতে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ।
২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই