আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাজনীতি উত্তপ্ত। মঞ্চে রাহুল গান্ধী—চোখে আগুন, কণ্ঠে তীব্র অভিযোগ। বললেন, মাত্র একটি ফোন! হ্যাঁ, মাত্র একটি ফোনেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মাথা নিচু করে নিলেন পাকিস্তানের সামনে!
মঙ্গলবার (০৩ জুন) ভোপালে কংগ্রেসের এক জনসভায় বক্তব্য দিতে উঠে রাহুল যেন হুঙ্কার দিয়ে বলেন, ট্রাম্পের ফোন এলো, আর মোদি সঙ্গে সঙ্গে আত্মসমর্পণ করলেন! এটা ইতিহাসে লেখা থাকবে। বিজেপি-আরএসএসের চরিত্রই এ রকম—চাপ দেখলেই হাঁটু গেড়ে বসে পড়ে! খবর ইকোনোমিক টাইমস।
রাহুল গান্ধীর এই তোপ এলো এমন এক সময়, যখন ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সম্প্রতি ভয়াবহ উত্তেজনা ছড়ায়। ৭ মে ভারত পাকিস্তানে মিসাইল হামলা চালায়। এর জবাবে পাকিস্তানও পাল্টা আক্রমণে নামে। একে একে ভারতের ৫টি যুদ্ধবিমান গুঁড়িয়ে দেয় ইসলামাবাদ। উত্তেজনার পারদ চড়তেই থাকে। কিন্তু হঠাৎ করেই—১১ মে দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়ে যায়।
এই নাটকীয় মোড় নিয়েই রাহুলের দাবি—ট্রাম্পের ফোনে, মোদি মাথা নিচু করলেন!
তবে এখানেই থেমে থাকেননি কংগ্রেস নেতা। ইতিহাস টেনে আনলেন। বললেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্র সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েছিল। রণতরী, অস্ত্র—সব নিয়ে! তবু ইন্দিরা গান্ধী ভয় পাননি। তিনি মাথা নোয়াননি। বলেছিলেন, ‘আমি যা চাই, তাই করব।’ এটা ছিল কংগ্রেসের সাহস!
তিনি আরও বলেন, বিজেপি-আরএসএসের অভ্যাসই আত্মসমর্পণ করা। তারা স্বাধীনতার সময় থেকেও আত্মসমর্পণ চিঠি লিখে আসছে। আর কংগ্রেস? কংগ্রেস কখনো মাথা নিচু করে না—মহাত্মা গান্ধী, নেহরু, বল্লভভাই প্যাটেল—তারা লড়াই করেছেন সুপার পাওয়ারদের বিরুদ্ধেও!
ভোপালের আকাশে তখন গর্জে উঠছে রাহুলের কণ্ঠ, আর কংগ্রেসের কর্মীরা হাততালিতে ঝড় তুলছে। রাজনৈতিক মহলে এই ভাষণ নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা। কেউ বলছেন, রাহুল এবার মোদিকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছেন, কেউ বলছেন, এ কেবল নাটকীয় শব্দের বৃষ্টি!
তবে একথা বলাই যায়— ভারতের লোকসভা নির্বাচন ঘিরে রাজনীতির মঞ্চে এখন নরম নয়, পুরো ফিল্মি ঘরানার কড়াকড়ি খেলাই চলছে!