আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ক্রমেই ভয়ংকর হয়ে উঠছে ইরান-ইসরায়েল সংঘাত। এ অবস্থায় দুইদেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য মধ্যস্ততার চেষ্টায় এগিয়ে এসেছে ওমান এবং কাতার। কিন্তু, শুরুতেই ব্যর্থ হয়ে গেছে তাদের চেষ্টা। ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আলোচনায় বসতে সরাসরি অস্বীকৃতি জানিয়ে দিয়েছে ইরান।
সোমবার (১৬ জুন) মধ্যরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
বার্তাসংস্থাটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানের পক্ষ থেকে মধ্যস্থতাকারী দেশ ওমান এবং কাতারকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে ইসরায়েলি হামলা চলাকালীন কোনো ধরনের যুদ্ধবিরতির আলোচনায় আগ্রহী নয় তারা।
রয়টার্সকে এক কর্মকর্তা নাম গোপন রাখার শর্তে বলেছেন, কাতার এবং ওমানকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ইরান তখনই সত্যিকারের যুদ্ধবিরতির আলোচনা করবে, যখন ইসরায়েলের প্রথম হামলার পূর্ণ প্রতিশোধ নেবে তারা।
এর আগে, ইসরায়েলি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছিল, যুদ্ধবিরতির জন্য ওমান ও কাতারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে ইরান। কিন্তু এ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে ইরানের বিভিন্ন জায়গায় হঠাৎ বড় ধরনের হামলা করে বসে ইসরায়েল। এরপর সারাদিনই দেশটিতে হামলা অব্যাহত রাখে তারা। ভয়াবহ এ হামলায় ইরানের সেনাপ্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, সামরিক বাহিনীর এলিট শাখা ইসলামিক রেভোল্যুশনারী গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) প্রধান জেনারেল হোসাইন সালামিসহ অন্তত ২০ জন জ্যেষ্ঠ কমান্ডারকে হত্যা করে ইসরায়েল। রোববারও (১৫ জুন) ইরানের এলিট ফোর্স ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের (আইআরজিসি) গোয়েন্দা প্রধান ও সামরিক বাহিনীর আরও দুই জেনারেলকে হামলা চালিয়ে হত্যা করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
শুক্রবারের আকস্মিক ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ওইদিন রাত থেকে ইসরায়েলে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩’ নামে এক অভিযান শুরু করে ইরান। এরপর থেকে একে অপরকে লক্ষ্য করে হামলা-পাল্টা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দুই পক্ষই। ক্রমেই ভয়ংকর রূপ ধারণ করছে দুইদেশের এ সংঘাত।