আন্তর্জাতিক ডেস্ক : টানা কয়েক দিনের সংঘাত, হামলা ও পাল্টা হামলায় বিপর্যস্ত ইরান ও ইসরায়েল। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ৪৫০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে ইরানে।
সংঘাত আরও খারাপ পরিস্থিতির দিকে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে এবং ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির বিষয়ে নিজেই বার্তা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর এরপরই মুখ খুলেছেন খামেনি।
ইরানের সর্বোচ্চ এই নেতা বলেছেন, যুদ্ধ শুরু হলো। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই বার্তা দেন বলে বুধবার (১৮ জুন) জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার বিরুদ্ধে হত্যার হুমকি দেওয়ার পর প্রথমবারের মতো প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তিনি মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)-এ একটি বার্তায় লিখেছেন— “মর্যাদাবান হায়দারের নামে, যুদ্ধ শুরু হলো।”
‘হায়দার’ হচ্ছে ইসলামের চতুর্থ খলিফা ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর চাচাতো ভাই ইমাম আলী (রা.)-এর আরেক নাম। ইরানসহ শিয়া মুসলিমরা তাকে তাদের প্রথম ইমাম হিসেবে মানেন।
ট্রাম্পের হুমকি সত্ত্বেও ইরানের সর্বোচ্চ নেতা পুনর্ব্যক্ত করেন, ইরান ইসরায়েলের আক্রমণের কঠোর প্রতিশোধ নেবে। আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এক্সে ইংরেজিতে লিখেছেন, “আমাদের সন্ত্রাসী ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে কঠোর জবাব দিতে হবে। আমরা ইহুদিবাদীদের কোনও দয়া দেখাব না।”
খামেনির এই বার্তাটি এসেছে এমন এক সময়, যখন ট্রাম্প একাধিকবার ইরানের শীর্ষ নেতাকে নিয়ে মন্তব্য করেছেন। মঙ্গলবার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির বিষয়ে ইঙ্গিত করে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কিছুক্ষণ আগে সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে বলেছেন, “আমরা ঠিক জানি তথাকথিত ‘সর্বোচ্চ নেতা’ কোথায় লুকিয়ে আছেন।”
মার্কিন রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট বলেন, “তিনি সহজ লক্ষ্যবস্তু, কিন্তু সেখানে নিরাপদ - আমরা তাকে বের করে (হত্যা!) আনবো না, অন্তত এখনই নয়।”
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আরও বলেছেন, “কিন্তু আমরা চাই না বেসামরিক নাগরিক বা আমেরিকান সৈন্যদের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ হোক। আমাদের ধৈর্য ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে।”
এর কিছুক্ষণ আগে দেওয়া আরেক পোস্টে তিনি বলেন, “ইরানের আকাশসীমা আমাদের নিয়ন্ত্রণে”। এই পোস্ট দুটির পরপরই তৃতীয় আরেকটি পোস্টে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প লিখেছেন, “আনকন্ডিশনাল সারেন্ডার!” (নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ!)