আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘাত গড়িয়েছে সপ্তম দিনে। এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ইরানের পক্ষে সরাসরি অবস্থান নিয়েছে উত্তর কোরিয়া ও তুরস্ক। কিম জং উনের দেশটি শুধু সমর্থনই জানায়নি, বরং ইসরায়েলকে “মধ্যপ্রাচ্যের ক্যান্সার” বলে আখ্যা দিয়েছে।
উত্তর কোরিয়া এক বিবৃতিতে জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের পৃষ্ঠপোষকতায় ইসরায়েল পুরো অঞ্চলের জন্য ভয়ংকর হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিম জং উন নিজেই ঘোষণা করেছেন, “ইরান এই যুদ্ধে একা নয়। উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতিতে রাখা হয়েছে। আমরা কখনো আমাদের বন্ধুদের ত্যাগ করি না।”
এই ঘোষণার পরই উত্তর কোরিয়া রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের কাছে সুমান এলাকা থেকে একসঙ্গে ১০টিরও বেশি স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। দক্ষিণ কোরিয়া ও বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
অন্যদিকে, তুরস্কও বসে নেই। ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশটি। এরদোয়ান সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইরান সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে এবং সম্ভাব্য আকাশ হামলার জবাব দেওয়ার মতো প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
তুরস্ক এখন নিজস্ব প্রযুক্তিতে মাল্টি-লেভেল রাডার ও অস্ত্র ব্যবস্থা তৈরি করছে, যাতে বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধে সক্ষমতা বাড়ে। গত ১৩ জুন ইসরায়েল যখন ইরানে হামলা চালায়, তখনই তুরস্কের টহল বিমানগুলো আকাশে সক্রিয় হয়ে পড়ে।
এমন দুই শক্তিশালী দেশের হুঙ্কারে চাপের মুখে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনই ইরানে হামলার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানানো হয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র কী ভূমিকা নেবে, তা নিয়ে আমি এখনো চিন্তা-ভাবনা করছি।”
এদিকে, ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে প্রতিদিনই বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রে ইসরায়েলের মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলের চারটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে সরোকা হাসপাতালও। ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় আঘাত হেনেছে ইরানের আরাক হেভি ওয়াটার রিঅ্যাক্টরে।