অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্রে এখনো হাতই দেয়নি ইরান!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অষ্টম দিনে গড়িয়েছে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত। এরই মধ্যে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ইসরায়েলকে নাজেহাল করে ফেলেছে ইরান। প্রতিরোধের ক্ষমতাও দ্রুতই ফুরিয়ে আসছে ইসরায়েলের। অথচ, এখন পর্যন্ত নাকি নিজেদের নতুন প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারই করেনি ইরান!
এমনটাই বলছেন, সামরিক বিশ্লেষকদের একটি অংশ। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইরানের বার্তা সংস্থা তাসনিম নিউজ।
গত ১৩ জুন কোনো উসকানি ছাড়াই ইরানে হামলা চালায় ইসরাইল। জবাবে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীও (আইআরজিসি) ইসরাইলে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান দফায় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালেও এখন পর্যন্ত নতুন প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেনি। এছাড়া, ইরানের হামলাগুলোর বিশেষ ১০টি বৈশিষ্ট্য ইসরায়েলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে একপ্রকার অকার্যকর করে দিয়েছে বলে মনে করেন তারা।
এদিকে জানা গেছে, ইরানের বিরুদ্ধে সংঘাতে ‘বড় সাফল্য’ পাওয়ার দাবি করা সত্ত্বেও দ্রুত নিজেদের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ইন্টারসেপ্টরের সরবরাহ কমে আসছে ইসরায়েলের। এতে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার স্থায়িত্ব নিয়েও উঠে গেছে প্রশ্ন।
মিত্রশক্তির (যুক্তরাষ্ট্র) গোয়েন্দা মূল্যায়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত একজন মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
বলা হচ্ছে, গত ১৩ জুন ইসরায়েল অপারেশন ‘রাইজিং লায়ন’ শুরু করার পর থেকে ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে প্রায় ৪০০ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরানি বাহিনী।
ইসরায়েলের দাবি, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, বিশেষ করে উচ্চ-উচ্চতার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে প্রতিহত করার জন্য তৈরি অ্যারো সিস্টেম, ইরান থেকে আগত বেশিরভাগ প্রজেক্টাইলকে ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে। তবে, এর জন্য বেশ বেগ পোহাতে হয়েছে বলে ইসরায়েলকে।
তেল আবিবের কর্মকর্তারা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেছেন, ইরানের এক-তৃতীয়াংশ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপক ধ্বংস করা হয়েছে। ইরানের আকাশের ওপর ‘শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন’ বা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবিও করেছেন তারা।
তবুও গোয়েন্দা সূত্রগুলো সতর্ক করে দিয়ে বলছে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র মজুদের অর্ধেকেরও বেশি অক্ষত রয়েছে, যার একটি অংশ সম্ভবত ভূগর্ভস্থ স্থাপনায় রাখা আছে।
