আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউরোপীয় ইউনিয়ন কাউন্সিলের কাছে ইসরায়েলের সঙ্গে থাকা সম্পর্ক চুক্তি তাৎক্ষণিকভাবে স্থগিত করার আহ্বান জানাবেন স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসে ম্যানুয়েল আলবারেস। সোমবার (২৩ জুন) স্পেনের সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। খবর ‘এ নিউজ’।
তিনি বলেন, গাজায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে এ সিদ্ধান্ত প্রয়োজন।
এ ছাড়া তিনি জানান, ইউরোপীয় কাউন্সিলকে তিনি অনুরোধ করবেন যেন ইসরায়েলে অস্ত্র বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। পাশাপাশি যে বা যারা দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানকে ক্ষতিগ্রস্ত করছেন তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাইবেন তিনি।
ইরানের পরমাণু স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি প্রথমবারের মতো মুখ খুলে বলেছেন, ‘আমরা ইসরায়েলি শত্রুর কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করব।’ তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে এ বিষয়ে সতর্ক করেছেন।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে ‘শাসন পরিবর্তন’ ঘটানোর ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, যদি বর্তমান ইরানি সরকার দেশের উন্নয়ন করতে না পারে, তাহলে শাসন পরিবর্তন কেন হবে না?
গত ১৩ জুন থেকে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে দফায় দফায় হামলা চলছে। এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু স্থাপনা—ফোরদো, নাতানজ ও ইসফাহানে হামলা চালায়।
হামলার বিষয়ে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে পূর্বেই সমন্বয় ছিল। ইসরায়েলি বিমান ও মিসাইল ইউনিটও ইরানে পৃথকভাবে হামলা চালিয়েছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক বাংকার লক্ষ্য করে বাঙ্কার বাস্টার বোমা ব্যবহার করা হয়েছে।
ইরান পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করবে না বলে জানিয়েছে দেশটির পরমাণু সংস্থা। ফোরদো থেকে গুরুত্বপূর্ণ ইউরেনিয়াম সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় গণমাধ্যম।
জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থা জানায়, হামলার পর সেসব স্থাপনা থেকে আশপাশে বিকিরণের মাত্রা বাড়েনি বলে এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে চীন ও রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে ‘আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন’ হিসেবে অভিহিত করেছে ও জাতিসংঘে স্থায়ী শান্তির আহ্বান জানিয়েছে। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ভারত, সৌদি আরব—সবাই বরাবরের মতো কূটনৈতিক সমাধানের পক্ষে আছে । মেক্সিকো, চিলি, কিউবা ও ভেনেজুয়েলা যুক্তরাষ্ট্রের হামলার বিরোধিতা করে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে।