আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থা (আইএইএ) থেকে বের হয়ে যাওয়ার কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইরান। দেশটির পার্লামেন্টের পর সুপ্রিম কাউন্সিলও এর অনুমোদন দিয়েছে। তবে এ বিষয়টি ইরান এবং আইএইএ— উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সঙ্গে ওই অঞ্চলও অস্থিতিশীল হয়ে পড়তে পারে।
যেহেতু ইরান আইএইএ থেকে বের হয়ে যাচ্ছে, তাই তারা এ সংস্থা থেকে প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং যাচাইকরণ প্রক্রিয়ার সুবিধাও আর পাবে না।
অপরদিকে ইরান না থাকলে এই সংস্থা বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে বড় ধাক্কা এবং নিজেদের বিশ্বাসযোগ্যতা হারাবে।
যেহেতু আইএইএ-এর নজরদারিতে না থাকলে ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম বাইরের কোনো দেশ পর্যবেক্ষণ করতে পারবে না। তাই তারা চাইলে পারমাণবিক বোমাও তৈরি করে ফেলতে পারবে। যা কেউ জানতেও পারবে না।
এতে করে অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের উত্তেজনা তৈরি হবে। যার ফলে ইরান আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা পেতে পারে এবং বিশ্ব থেকে আরও বিচ্ছিন্ন হতে পারে।
অপরদিকে ইরান সংস্থাটি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বের হয়ে গেলে অন্যান্য দেশও একই পথে হাঁটতে পারে। এতে করে পারমাণবিক বিস্তার রোধে যেসব কার্যক্রম আছে সেগুলো বাধার মুখে পড়ার শঙ্কায় থাকবে।
অর্থাৎ জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থা থেকে ইরানের প্রস্থান দুই পক্ষের জন্যই ‘লস’ হবে।