আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক এবার ব্যবহারকারীদের ফোনে (ডিভাইসে) থাকা ছবি অ্যাক্সেস করার অনুমতি চাইছে। অনুমতি পেলে ফোনের ক্যামেরা রোলে থাকা ছবিগুলোকে নিজেদের ‘মেটা এআই’ টুল দিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এডিট করে সেগুলো ব্যবহারের প্রস্তাব দিবে (সাজেস্ট করবে) ব্যবহারকারীদেরকে। এর মধ্যে এমন ছবিও থাকবে যেগুলো ব্যবহারকারী এর আগে ফেসবুকে কখনও আপলোড বা শেয়ার করেননি।
গত শুক্রবার (২৭ জুন) প্রযুক্তিবিষয়ক অনলাইন সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, নতুন এই ফিচারটিকে ব্যবহারকারীদের সামনে পপ-আপ মেসেজ (বার্তা) আকারে তুলে ধরেছে ফেসবুক। ব্যবহারকারীরা যখন নতুন একটি স্টোরি তৈরি করতে যাচ্ছেন তখনই তাঁরা নতুন এই ফিচার সম্পর্কিত পপ-আপ বার্তাটি দেখতে পাচ্ছেন।
পপ-আপ বার্তাটির শিরোনাম হচ্ছে, ‘আপনার ক্যামেরা রোল থেকে সৃজনশীল আইডিয়া তৈরির জন্য আপনি কি ক্লাউড প্রসেসিং (ফিচারটিকে) অনুমতি দেবেন?
অর্থাৎ, ব্যবহারকারীর কাছে ফেসবুক জানতে চাইছে, তাঁরা ‘ক্লাউড প্রসেসিং’ ফিচারটি ব্যবহার করতে ইচ্ছুক কিনা। ব্যবহারকারী ইচ্ছুক হলে, ‘এলাউ’ (অনুমতি দিন) বাটনে ট্যাপ করে মেটা এআই’র শর্তাবলীতে সম্মতি জ্ঞাপন করতে হবে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীর ফোনের মিডিয়া ও ফ্যাশিয়াল ফিচারসমূহ বিশ্লেষণের অনুমতি পাবে ‘মেটা এআই’ টুলটি।
শুধু তাই নয়, ব্যবহারকারীদেরকে সৃজনশীল আইডিয়া প্রদানের জন্য ফোনে সংরক্ষিত ছবিগুলোর তারিখ এবং এগুলোতে উপস্থিতি ব্যক্তি ও বস্তু- এই সব তথ্যই ব্যবহার করবে মেটা এআই।
টেকক্রাঞ্চের প্রতিবেদন বলছে, ফেসবুক বর্তমানে ‘ক্লাউড প্রসেসিং’ ফিচারটি আমেরিকা ও কানাডাতে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেছে। তবে এখনও সেখানে সকল গ্রাহকের কাছে পৌঁছায়নি এটি। কেননা অনেকেই নতুন এই ফিচার সম্পর্কিত পপ-আপ বার্তাটি এখনও পাননি।
প্রযুক্তি বিশ্বে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সকলেই চাইছে চলমান এআই প্রতিযোগিতায় নিজেদেরকে এগিয়ে রাখতে। আর এজন্য নিত্যনতুন সব এআই ফিচার ও টুল নিয়ে হাজির হচ্ছে তাঁরা। তবে এই ফিচারগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা নিয়মিতই তাঁদের ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করছেন প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলো এআই খাতে নিজেদেরকে অনেকটাই এগিয়ে রাখার সুযোগ পাচ্ছেন। তবে ব্যবহারকারীদের পক্ষে তাঁদের ব্যক্তিগত তথ্য কীভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে তা জানা কিংবা নিয়ন্ত্রণ করা প্রায় অসম্ভবই বলা চলে।
তথ্যসূত্র: টেকক্রাঞ্চ, দ্য ভার্জ, ম্যাশেবল