অন্তর্জাতিক ডেস্ক: কেনিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক, যার মধ্যে ৫২ জন পুলিশ সদস্যও রয়েছেন। সোমবার (৭ জুলাই) এই বিক্ষোভ চলাকালে সহিংসতায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে কেনিয়া পুলিশ।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, গণতন্ত্র আন্দোলনের ৩৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে ‘সাবা সাবা’ নামে পরিচিত এই দিনটিতে (৭ জুলাই) দেশজুড়ে বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়। তবে বিক্ষোভটি দ্রুত সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়, যেখানে বর্তমান প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটোর পদত্যাগ দাবি করা হয়।
রাজধানী নাইরোবির গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো পুলিশ অবরোধ করে রাখে। বিক্ষোভকারীরা যখন শহরের কেন্দ্রস্থলে প্রবেশের চেষ্টা করেন, তখন তাদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষের একপর্যায়ে পুলিশ গুলি ছোড়ে। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
আল জাজিরার নাইরোবি প্রতিনিধি ম্যালকম ওয়েব জানিয়েছেন, রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে এবং দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। বহু জায়গা থেকে গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বিক্ষোভের আগের দিন, রোববার (৬ জুলাই) কেনিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিপচুম্বা মুরকমেন এক্সে (পূর্বে টুইটার) বলেন, আমরা জনগণের জানমাল রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নিরাপত্তা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে। শান্তিপূর্ণ মিছিলে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এটা প্রথমবার নয় চলতি বছরের গত মাসেও কেনিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি কেনিয়ার তথ্য অনুযায়ী, সেই সময় অন্তত ১৯ জন নিহত এবং প্রায় ৪০০ জন আহত হয়েছিলেন।
কেনিয়ার জনগণ দুর্নীতি, দমন-পীড়ন ও অর্থনৈতিক দুরবস্থার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই আওয়াজ তুলে আসছেন। তবে ‘সাবা সাবা’ দিবসে এই ধরনের রক্তক্ষয়ী পরিস্থিতি নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে দেশটির রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে।