বিনোদন ডেস্ক : প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণ ফিলিপিন্স উপকূলের কাছে মত্সজীবীরা ছাড়া ওই এলাকায় সচরাচর কেউ যায় না। রবিবার মত্সজীবী ক্রিস্টোফার রিভাস ও তার বন্ধু মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। হঠাৎ তাদের চোখে পড়ে একটি ইয়াচ (ছোট প্রমোদতরী)। অর্ধেকটা ডুবে রয়েছে পানিতে। সন্দেহবশে ইয়াচটির কেবিনে উঁকি দিতেই চোখ কপালে রিভাস ও তার বন্ধুর। কি দেখে তাদের চোখ কপালে উঠলো?
তারা দেখলেন, একটি মমি টেবিল বসে আছে। ফোনের রিসিভারটি তখনো কানে। জার্মান অ্যাডভেঞ্চারার ম্যানফ্রেড ফ্রিত্জ হাজোরাত তার সায়ো নামের ৪০ ফুটের ইয়াচটি নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন প্রশান্ত মহাসাগরে। সে আজ থেকে প্রায় ২০ বছর আগের কথা। অ্যাডভেঞ্চারের নেশায় ফ্রিত্জ আর যোগাযোগ করেননি তার পরিবারের সঙ্গে।
ফ্রিত্জ-এরল এক বন্ধু জানিয়েছেন, এক বছর আগে তার জন্মদিনে ফেসবুকে শেষবার কথা হয়েছিল ফ্রিত্জের সঙ্গে। তারপর তার সম্পর্কে আর কোনও খবর ছিল না।
খবর পেয়ে ভাঙা, অর্ধেক ডুবে থাকা ইয়াচটিতে ঢোকে ফিলিপিন্সের উদ্ধারকারী দল। ইয়াচের কেবিনে উদ্ধার হয়েছে ফ্রিত্জের কিছু পেপারওয়ার্ক, অ্যালবাম, শুকনো খাবার ও জামাকাপড়। কাগজপত্রগুলি দেখে মালুম হয়েছে, ফ্রিত্জের বয়স ৫৯ বছর। ফ্রিত্জের প্রায় অবিকৃত মমিটি এখনও টেবিলে বসে। ফোনের রিসিভার কানে। কারও সঙ্গে কথা বলতে বলতেই হয়তো মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিলেন। তবে মৃত্যুর কারণ ঘিরে ধোঁয়াসা রয়েছে।
পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছে, রিত্জের স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায় ২০০৮-এ। স্ত্রী একসময় তার সঙ্গেই ঘুরে বেড়াতেন মহাসাগরে। বর্তমানে অবশ্য তিনি বেঁচে নেই। ক্যান্সারে মৃত্যু হয়েছে। শেষ কাদের সঙ্গে ফ্রিত্জ কথা বলেছিলেন, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কিন্তু এত বছর ধরে কী ভাবে অবিকৃত থাকল ফ্রিত্জের দেহ?
চিকিত্সা বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, প্রশান্ত মহাসাগরের শুষ্ক ও নোনা বাতাস এবং উষ্ণ আবহাওয়ার জেরেই দেহ বিকৃত হয়নি। ম্যানিলায় জার্মান দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে, ফ্রিত্জের নিনা নামে এক কন্যা সন্তান রয়েছেন। তিনি বর্তমানে একটি মালবাহী জাহাজের ক্যাপ্টেন। তবে বাবার সঙ্গে তার দীর্ঘদিন যোগাযোগ ছিল না। : এই সময়
১ মার্চ, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন