আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) জানিয়েছে, ২৬ জুন থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত দেশটিতে মুষলধারে বৃষ্টিপাত ও আকস্মিক বন্যায় কমপক্ষে ১১১ জন নিহত এবং ২১২ জন আহত হয়েছেন। খবর চীনের বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার।
সোমবার (১৪ জুলাই) এনডিএমএ তাদের আপডেট প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতজনিত দুর্ঘটনায় সাতজন নিহত এবং ১২ জন আহত হয়েছেন।
চলতি বর্ষা মৌসুমে পূর্ব পাঞ্জাব প্রদেশে সবেচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। প্রদেশটিতে ৪০ জন নিহত হয়েছেন, এরপর উত্তর-পশ্চিম খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে ৩৭ জন, দক্ষিণ সিন্ধু প্রদেশে ১৭ জন এবং দক্ষিণ-পশ্চিম বেলুচিস্তান প্রদেশে ১৬ জন নিহত হয়েছেন।
এনডিএমএ জানিয়েছে, পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, তবে উত্তর গিলগিট-বালতিস্তান এবং ইসলামাবাদ রাজধানী অঞ্চলে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
পাকিস্তানের আবহাওয়া অধিদপ্তর আগামী দিনে আরো ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করেছে এবং বাসিন্দাদের, বিশেষ করে নিম্নাঞ্চলীয় ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে। এনডিএমএ জানিয়েছে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
পাকিস্তানে প্রতিবছরের মতো এবারও জুন-সেপ্টেম্বর সময়কালে মৌসুমি বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সবচেয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর তালিকায় রয়েছে পাকিস্তান। ২৪ কোটিরও বেশি জনসংখ্যার এই দেশটি চরম আবহাওয়ার ধাক্কায় প্রায়ই বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। ২০২২ সালের নজিরবিহীন মৌসুমি বন্যায় পাকিস্তানের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ভূখণ্ড পানির নিচে তলিয়ে গিয়েছিল। সেই ঘটনায় প্রাণ হারান অন্তত ১ হাজার ৭০০ জন।