মঙ্গলবার, ২২ জুলাই, ২০২৫, ০১:৪৩:১৯

ভয়াবহ পরিস্থিতি পাকিস্তানে, নিহত ২২১

ভয়াবহ পরিস্থিতি পাকিস্তানে, নিহত ২২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানে নতুন করে ভারী বৃষ্টিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল তলিয়ে গেছে। সে সঙ্গে পাহাড়ি অঞ্চলে ভূমিধস, আকস্মিক বন্যা ও বজ্রপাতের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এসবের ফলে মৃতের সংখ্যা ২২১ জনে পৌঁছেছে।

মঙ্গলবার দুর্যোগ মোকাবেলা সংস্থা মৃত্যুর সংখ্যাটি জানায়। খবর জিওটিভি নিউজের।

জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) বলছে, বৃষ্টিপাতজনিত দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে শিশু ও নারীরাও রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ জন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আর এই বর্ষা মৌসুমে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে দুর্ঘটনায় ৫৯২ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৭৭ জন পুরুষ, ৪০ জন নারী এবং ১০৪ জন শিশু। পাঞ্জাব সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত প্রদেশ। সেখানে ১৩৫ জন মারা গেছেন এবং ৪৭০ জন আহত হয়েছেন।

খাইবার পাখতুনখোয়ায় ৪০ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ৬৯ জন আহত হয়েছেন। সিন্ধুতে ২২ জন নিহত এবং ৪০ জন আহত হয়েছেন। বেলুচিস্তানে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজাদ কাশ্মীরে একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং ছয়জন আহত হয়েছেন। গিলগিট-বালতিস্তানে তিনজন হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। ইসলামাবাদে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

বেশিরভাগ মৃত্যুর কারণ কাঠামোগত ধস, ডুবে যাওয়া, ভূমিধস, আকস্মিক বন্যা, বজ্রপাত ও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া।

এনডিএমএ রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫টি বাড়ি ধসে পড়েছে। পাঁচটি গবাদি পশু মারা গেছে। বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার পর থেকে ৮০৪টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে এবং ২০০টি গবাদি পশু মারা গেছে।

সম্পত্তির ক্ষতির দিক থেকে, পাঞ্জাবে ১৬৮টি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি রয়েছে। কেপিতে ১৪২টি বাড়ি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এবং ৭৮টি ধসে পড়েছে। সিন্ধুতে ৫৪টি আংশিকভাবে এবং ৩৩টি সম্পূর্ণরূপে ধসে পড়েছে।

বেলুচিস্তানে ৫৬টি বাড়ি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ৮টি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে।

গিলগিট-বালতিস্তানে ৭১টি বাড়ি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ৬৬টি সম্পূর্ণরূপে বৃষ্টিতে ধ্বংস হয়েছে। আজাদ কাশ্মীরে ৭৫টি আংশিকভাবে ভেঙে পড়েছে এবং ১৭টি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়েছে। ইসলামাবাদে ৩৫টি আংশিকভাবে ধসে পড়েছে এবং একটি পূর্ণাঙ্গভাবে ধ্বংস হয়েছে।

এদিকে কর্তৃপক্ষ নতুন করে বাবুসারে বন্যার জরুরি অবস্থা জারি করেছে। সেখানে মুষলধারে বৃষ্টিপাতের ফলে বাবুসার টপের আশেপাশে ৭-৮ কিলোমিটার ব্যাসার্ধে আকস্মিক বন্যা এবং ভূমিধসের সৃষ্টি হয়েছে। কমপক্ষে ১৪ থেকে ১৫টি রুট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং আটকে পড়া পর্যটকদের নিরাপদে চিলাসে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ বলেছে, বৃষ্টিপাতের সময় সতর্ক থাকতে হবে। আকষ্মিক বন্যাপ্রবণ এলাকা, গিরিখাদ, পাহাড়ি ঢলের সম্ভাবনাপ্রবণ রাস্তা এবং নিচু এলাকা পরিহার করে বলা হয়েছে। এ ছাড়া বর্জ্যপাতের ঝুঁকি এড়াতে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান না করাসহ জরুরি নির্দেশনা প্রতিপালনের আহ্বান জানানো হয়েছে। এ ছাড়া বৈদ্যুতিক তার বা খুঁটি থেকে যথাসম্ভব দূরে থাকতে নির্দেশনা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে