আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র থেকে জার্মানিগামী একটি বোয়িং উড়োজাহাজের একটি ইঞ্জিন মাঝ আকাশে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভয়াবহ দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। চালকের দক্ষতার কারণে কোনো রকমে সেই দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে ঘটেছে এই ঘটনা। বিমানটি ছিল মার্কিন বিমান পরিষেবা সংস্থা ইউনাইটেড এয়ারলইন্সের মালিকানাধীণ।
বিমান চলাচল পর্যবেক্ষণকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা ফ্লাইট অ্যাওয়্যারের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৫ জুলাই জার্মানির মিউনিক শহরের উদ্দেশে ওয়াশিংটনের ডালস বিমানবন্দর ছেড়ে যায় বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজটি। বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে টেক অফের পর উড়োজাহাজটি যখন ৬ হাজার ফুট উচ্চতায় ছিল, সে সময় হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় সেটির বাঁ দিকের ইঞ্জিন।
এই অবস্থায় বিমানটির পাইলট ও সহ-পাইলট ডালস বিমান বন্দরে জরুরি মে-ডে কল পাঠান। নিরাপদে জরুরি অবতরণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) সঙ্গেও যোগাযোগ করেন তারা। এটিসির পক্ষ থেকে তাদেরকে জ্বালানি কমানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। সেই নির্দেশনা মেনে ওয়াশিংটনের আকাশে ২ ঘণ্টা ৩৮ মিনিট ঘুরপাক খেয়ে জ্বালানি ক্ষয় করার পর সেই ডালস বিমানবন্দরেই নিরাপদে উড়োজাহাজটিকে নামিয়ে আনতে সক্ষম হন পাইলটরা।
এ ঘটনায় নিহত বা আহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। বিমান, যাত্রী, পাইলট এবং ক্রু সবাই অক্ষত আছেন। মূলত পাইলটদের তৎপরতা ও এটিসির নিরবিচ্ছিন্ন সহায়তার ওপর ভর দিয়ে ভয়াবহ একটি দুর্যোগ এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
তবে কী কারণে উড়োজাহাজটির ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গেল— এ প্রশ্নের উত্তর এখনও পাওয়া যায়নি। ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ অনুসন্ধানে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং সেই কমিটি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।