আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দীর্ঘ ৬ বছর পর চীন সফরে যাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টানাপোড়েনের মধ্যেই তার চীন সফরের ঘোষণাটি এলো। যে সময়ে মোদি বেইজিংয়ে অবস্থান করবেন, ঠিক একই সময়ে চীন সফরে যাবেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ যেন আগুনে ঘি ঢাললেন মোদি। তবে প্রশ্ন, হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল ভারত!
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের তিয়ানজিনে ৩১ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর তারিখে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। মোদি এই সম্মেলনের উদ্দেশ্যেই চীন সফরে যাবেন।
নরেন্দ্র মোদি ২০২০ সালে হিমালয় অঞ্চলে ভারত ও চীনের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষের পর এই প্রথম চীন সফরে যাচ্ছেন। তিনি সর্বশেষ চীন সফরে গিয়েছিলেন ২০১৯ সালে। তার এই সফর নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক একপ্রকার তলানিতে ঠেকার পর হয়তো চীনের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামত জরুরি বলে মনে করছে দিল্লি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর বিশ্বের তিন ক্ষমতাধর দেশ চীন, রাশিয়া ও ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরও শীতল হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে চীনে এই তিন দেশের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক হয়তো নতুন কোনো দিশা দেখাতে পারে।
সম্প্রতি কাশ্মীরের পেহেলগাম হামলা ঘিরে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধে ইসলামাবাদের প্রতি চীনের প্রকাশ্য সমর্থন দেখা গেছে। তারপরও চীনে এসসিওর আঞ্চলিক সম্মেলনে ভারতের এই অংশগ্রহণকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন অনেকে।
ধারণা করা হচ্ছে, এসসিওভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনায় আঞ্চলিক নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদ এবং বাণিজ্য ইস্যু উঠে আসবে। ভারত-চীন সম্পর্ক পুনরায় স্থিতিশীল ও সংলাপমুখী করতে উদ্যোগ নেওয়া হবে। সম্মেলনের ফাঁকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে অপ্রাতিষ্ঠানিক বৈঠকের সম্ভাবনাও রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের অক্টোবরে রাশিয়ার কাজানে অনুষ্ঠিত ব্রিকস সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সাক্ষাৎ করেছিলেন। এর পর থেকে দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনা কমাতে নতুন করে উদ্যোগ জোরদার হয়।