আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার জ্বালানি পণ্য কেনা অব্যাহত রাখা দেশগুলোর জন্য আরও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি রাশিয়ার তেল কেনার অভিযোগে ভারতের ওপর তিনি অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। তবে বিষয়টি এখানেই শেষ নয় বলে সতর্ক করেছেন ট্রাম্প।
স্থানীয় সময় বুধবার (১০ আগস্ট) ওভাল অফিসে এক বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, ‘সবে তো শুরু, আপনারা আরও অনেক কিছু দেখতে যাচ্ছেন। আরও অনেক নিষেধাজ্ঞা (সেকেন্ডারি নিষেধাজ্ঞা) আসতে যাচ্ছে।’
ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেওয়ার অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানান ট্রাম্প। এর আগে, শান্তিচুক্তি করার জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তা না হলে এই অর্থনৈতিক শাস্তি কার্যকর হবে বলে হুমকি দিয়েছিলেন তিনি।
ট্রাম্পের আগে বাইডেন প্রশাসনও রাশিয়ার ওপর নানা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন, তবে তাতেও যুদ্ধ থামানো যায়নি। ট্রাম্প নিজের শুল্ক হাতিয়ারকে এবার ভিন্ন আঙ্গিকে ব্যবহার করেছেন। তিনি ‘সেকেন্ডারি ট্যারিফ’বা গৌণ শুল্কারোপ শুরু করেছেন। অর্থাৎ এই শুল্কের মাধ্যমে ট্রাম্প তৃতীয় পক্ষের দেশগুলোকে এমন একটি অবস্থানে ফেলেছেন যেখানে রাশিয়া কিংবা যুক্তরাষ্ট্র যেকোনো এক পক্ষের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে হবে।
রাশিয়ার জ্বালানি পণ্যের সবচেয়ে বড় ত্রেতা হলো চীন। দেশটির সঙ্গে বর্তমানে একটি নতুন বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন ট্রাম্প। মার্কিন কর্মকর্তারা এসব আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির কথা জানিয়েছেন। তবে তা সত্ত্বেও দেশটির ওপর নতুন করে শুল্কারোপের হুমকি দেওয়া বাদ দেননি ট্রাম্প।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি যাদের ওপর শুল্কারোপ করতে যাচ্ছি, চীনও তাদের মধ্যে থাকতে পারে। আমি জানি না আসলে এই মুহূর্তে কিছু বলতে পারছি না।’ এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে চীনা দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের অবৈধ ও অযৌক্তিক একতরফা নিষেধাজ্ঞার বরাবরই বিরোধিতা করে আসছে চীন।