আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বর্তমান ডিজিটাল যুগে ফ্রিল্যান্সিং শুধু আর একটি বিকল্প আয়ের উৎস নয়; বরং অনেকে এটিকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। ইন্টারনেট ও প্রযুক্তির সহজলভ্যতা, দক্ষ কর্মীর চাহিদা বৃদ্ধি ও ঘরে বসেই দেশ–বিদেশে কাজের সুযোগ—সব মিলিয়ে সারা বিশ্বে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ফ্রিল্যান্সিং।
এ পেশার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো কর্মীর কাজের স্থান ও সময় ঠিক করার স্বাধীনতা। ঘরে বসে বা ভ্রমণ করতে করতেই অনলাইনে কাজ করার এই স্বাধীনতা লাখো মানুষের জীবনে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে।
তবে সব দেশ সমানভাবে ফ্রিল্যান্সিংয়ের সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি। কয়েকটি দেশ রয়েছে, যারা ফ্রিল্যান্সিংয়ের বাজারে অনেকটা এগিয়ে। কোনো কোনো দেশের বেলায় এই এগিয়ে থাকা সংখ্যার দিক থেকে, কেউবা দক্ষতা ও মানের বিচারে, আবার কোনো কোনো দেশ সস্তা শ্রমের কারণে। প্রযুক্তিজ্ঞান ও বিভিন্ন ভাষা, বিশেষ করে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা, নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট সংযোগ ও পেমেন্ট সিস্টেমের সহজলভ্যতা—এসব মিলেমিশে ফ্রিল্যান্সিংয়ের বাজারে সাফল্যের পথ তৈরি হয়েছে।
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে সাফল্যের দিক থেকে উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে কয়েকটি উন্নয়নশীল দেশ রীতিমতো প্রতিযোগিতা করছে। ফ্রিল্যান্সিংয়ে আয়ের দিক থেকে একদিকে যেমন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য বা কানাডার মতো দেশ শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। অন্যদিকে ভারত, ফিলিপাইন, পাকিস্তান কিংবা বাংলাদেশের মতো দেশ সাশ্রয়ী মূল্যে সেবা দিয়ে বিশ্বজুড়ে ফ্রিল্যান্সিং বাজারের একটি বড় অংশ দখল করে রেখেছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওয়েবসাইট ‘মিডিয়াম’ ফ্রিল্যান্সিং বাজারে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা ১০ দেশের তালিকা করেছে। যদিও বিভিন্ন উৎসে এ নিয়ে তথ্যের পার্থক্য পাওয়া যায়। মিডিয়ামের তালিকায় কোন কোন দেশ স্থান পেয়েছে, তা দেখে নেওয়া যাক।
১ যুক্তরাষ্ট্র:
জনপ্রিয় অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম ‘আপওয়ার্ক’–এর একটি গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ছয় কোটি ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন। এ হিসাবটি ২০২৪ সালের।
প্রায় ৩৪ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার দেশটিতে এটা নিশ্চিতভাবেই তাদের মোট কর্মক্ষম জনশক্তির একটি বিশাল অংশ। ফ্রিল্যান্সারদের এই সংখ্যাই বলে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে এটি পেশা হিসেবে কতটা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রে একজন ফ্রিল্যান্সার বছরে গড়ে ৫০ হাজার মার্কিন ডলারের বেশি আয় করেন।
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে সাফল্যের দিক থেকে উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে কয়েকটি উন্নয়নশীল দেশ রীতিমতো প্রতিযোগিতা করছে। ফ্রিল্যান্সিংয়ে আয়ের দিক থেকে একদিকে যেমন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য বা কানাডার মতো দেশ শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। অন্যদিকে ভারত, ফিলিপাইন, পাকিস্তান কিংবা বাংলাদেশের মতো দেশ সাশ্রয়ী মূল্যে সেবা দিয়ে বিশ্বজুড়ে ফ্রিল্যান্সিং বাজারের একটি বড় অংশ দখল করে রেখেছে।
২ যুক্তরাজ্য:
ইউরোপের দেশ যুক্তরাজ্যে প্রায় ১৯ লাখ ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন। টোটালজবস ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, সেখানে একজন ফ্রিল্যান্সার বছরে গড়ে প্রায় ৬৫ হাজার ৯৩ পাউন্ড বা ৮১ হাজার ৭০০ মার্কিন ডলার আয় করেন।
অন্যান্য দেশের তুলনায় যুক্তরাজ্যে ফ্রিল্যান্সারদের আয় কিছুটা বেশি। তবে আয় অনেকটাই নির্ভর করে আপনি কোন শিল্প বা খাতে কাজ করছেন, তার ওপর। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, যুক্তরাজ্যে ফ্রিল্যান্স লেখকদের ঘণ্টাপ্রতি আয় প্রায় ১১ পাউন্ড, কিন্তু ওয়েব ডেভেলপাররা ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৭০ পাউন্ড পর্যন্ত মজুরি নেন।
অন্যান্য দেশের তুলনায় যুক্তরাজ্যে ফ্রিল্যান্সারদের আয় কিছুটা বেশি। তবে আয় অনেকটাই নির্ভর করে আপনি কোন শিল্প বা খাতে কাজ করছেন, তার ওপর। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, যুক্তরাজ্যে ফ্রিল্যান্স লেখকদের ঘণ্টাপ্রতি আয় প্রায় ১১ পাউন্ড, কিন্তু ওয়েব ডেভেলপাররা ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৭০ পাউন্ড পর্যন্ত মজুরি নেন।
৩ ব্রাজিল:
ফ্রিল্যান্সার বা মুক্তপেশাজীবীরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে এবং আয় করতে পারেন
ফ্রিল্যান্সার বা মুক্তপেশাজীবীরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে এবং আয় করতে পারেনফাইল ছবি: রয়টার্স
ব্রাজিলে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ। এই ফ্রিল্যান্সারদের অনেকেই ব্রাজিলে বসে বিদেশি প্রকল্পে দূর থেকে (রিমোট ফ্রিল্যান্সিং) অনলাইন ভিত্তিতে কাজ করেন। আয় ভিন্ন ভিন্ন হলেও সাধারণত রিমোট ফ্রিল্যান্সারদের বার্ষিক আয় আনুমানিক ২ লাখ ৮ হাজার ৮৯০ ব্রাজিলিয়ান রিয়াল, যা প্রায় ৪৩ হাজার মার্কিন ডলারের সমান। এটা ব্রাজিলে সাধারণ কর্মজীবীদের বার্ষিক গড় আয়ের কয়েক গুণ বেশি। দেশটিতে একজন সাধারণ কর্মজীবী বছরে গড়ে ৭ হাজার ২৩৬ মার্কিন ডলার আয় করেন।
৪ পাকিস্তান:
বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানের মতো সস্তা শ্রমের দেশগুলোতে অনলাইন ভিত্তিক ফ্রিল্যান্সিং দ্রুত বাড়ছে
বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানের মতো সস্তা শ্রমের দেশগুলোতে অনলাইন ভিত্তিক ফ্রিল্যান্সিং দ্রুত বাড়ছেফাইল ছবি: রয়টার্স
পাকিস্তানে প্রায় ৩০ লাখ ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন, যাঁদের বার্ষিক গড় আয় প্রায় ৫ লাখ ২৪ হাজার ৩৯৩ পাকিস্তানি রুপি। তবে এই তালিকার অন্য অনেক দেশের মতো পাকিস্তানে ফ্রিল্যান্সারদের সঠিক সংখ্যা ও আয়–সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া কঠিন। কারণ, অনেকে ফ্রিল্যান্সারদের স্বনির্ভর পেশাজীবীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।
৫ ইউক্রেন:
ইউক্রেনে তিন বছরের বেশি সময় ধরে যুদ্ধ চলছে। তবে রাশিয়ার চাপিয়ে দেওয়া এই যুদ্ধের মধ্যেও ইউক্রেনের ফ্রিল্যান্সিং বাজার স্থিতিশীল এবং উন্নতির ধারা বজায় রাখতে দেখা যাচ্ছে। দেশটিতে ২০২২ সাল থেকে ফ্রিল্যান্স সেবার চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। ওই বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ করে। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো দ্রুত ও সাশ্রয়ী সমাধানের জন্য ক্রমেই ফ্রিল্যান্সারদের দিকে ঝুঁকে পড়ে, যাতে নতুন বাস্তবতার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া যায়।
ইউক্রেনে বিশেষ করে প্রোগ্রামিং, ডিজাইন ও কপি রাইটিং খাতে ফ্রিল্যান্সারদের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। দেশটিতে প্রায় ৩০ লাখ ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন। ইউক্রেনে একজন ফ্রিল্যান্সার বছরে গড়ে ১৫ লাখ ১৬ হাজার রিভনিয়া আয় করেন, যা ৪১ হাজার ২৯ মার্কিন ডলারের সমান।
ইউক্রেনে তিন বছরের বেশি সময় ধরে যুদ্ধ চলছে। তবে রাশিয়ার চাপিয়ে দেওয়া এই যুদ্ধের মধ্যেও ইউক্রেনের ফ্রিল্যান্সিং বাজার স্থিতিশীল এবং উন্নতির ধারা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। দেশটিতে ২০২২ সাল থেকে ফ্রিল্যান্স সেবার চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। ওই বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ করে। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো দ্রুত ও সাশ্রয়ী সমাধানের জন্য ক্রমেই ফ্রিল্যান্সারদের দিকে ঝুঁকে পড়ে, যাতে নতুন বাস্তবতার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া যায়।
৬ ফিলিপাইন:
ফ্রিল্যান্সিংয়ের সবচেয়ে বড় সুবিধাগুলোর একটি হলো আপনি যেকোনো সময়, যে কোনো স্থানে কাজ করতে পারবেন। এমনকি ভ্রমণ বিরতির সময়েও কাজ করা সম্ভব
ফ্রিল্যান্সিংয়ের সবচেয়ে বড় সুবিধাগুলোর একটি হলো আপনি যেকোনো সময়, যে কোনো স্থানে কাজ করতে পারবেন। এমনকি ভ্রমণ বিরতির সময়েও কাজ করা সম্ভবছবি: লিংকডইন
ফিলিপাইনে প্রায় ১৫ লাখ ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন। তবে এ সংখ্যায় যাঁরা শুধু অনলাইন ভিত্তিতে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করেন, তাঁদের যুক্ত করা হয়েছে। ফিলিপাইনে উচ্চশিক্ষার সুযোগ ও জনগণ ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হওয়ার কারণে দেশটি ফ্রিল্যান্সিং বাজারের ‘হটস্পটে’ পরিণত হয়েছে। সেই সঙ্গে দেশটিতে সস্তায় সেবা পাওয়ার সুযোগও রয়েছে। যে কারণে বিদেশি অনেক প্রতিষ্ঠান ভার্চ্যুয়াল সহযোগী বা এ ধরনের কাজের জন্য ফিলিপাইনের ফ্রিল্যান্সারদের ভাড়া করে থাকে।
দেশটিতে ফ্রিল্যান্সারদের বার্ষিক গড় আয় প্রায় ছয় হাজার মার্কিন ডলার।
৭ ভারত:
ভারতে প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন। তবে এ সংখ্যাটি সুনিশ্চিত নয়। দেশটিতে ফ্রিল্যান্সারদের বার্ষিক গড় আয় ৪ হাজার ৮৫৬ মার্কিন ডলার। সস্তা শ্রমবাজারের কারণে ভারত আউটসোর্সিংয়ে বড় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। ভারতীয় ফ্রিল্যান্সাররা মূলত ওয়েব ডেভেলপিং, ডিজিটাল মার্কেটিং ও কনটেন্ট মার্কেটিংয়ের কাজ করেন।
৮ বাংলাদেশ:
ফ্রিল্যান্সিং ঘরে বসে নারীদের আয় করার নতুন দ্বার খুলে দিয়েছে।
ফ্রিল্যান্সিং ঘরে বসে নারীদের আয় করার নতুন দ্বার খুলে দিয়েছে।প্রতীকী ছবি: প্রথম আলো
বাংলাদেশে দুই লাখের বেশি ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন। যদিও প্রতিবেশী দেশগুলোর মতো বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা নিয়েও দ্বিমত রয়েছে। কোথাও কোথাও বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা ১০ লাখ পর্যন্ত বলা হয়।
বাংলাদেশে একজন ফ্রিল্যান্সার বছরে গড়ে ৪২ লাখ টাকার বেশি আয় করেন, যা ৩৯ হাজার ২৯২ লাখ ডলারের সমান। গড় আয়ের এই সংখ্যা নিয়েও দ্বিমত রয়েছে।
৯ জার্মানি:
ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, জার্মানিতে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ। দেশটিতে ফ্রিল্যান্সারদের বার্ষিক গড় আয় প্রায় ৪৯ হাজার ইউরো, যা প্রায় ৫৩ হাজার মার্কিন ডলারের সমান। দক্ষতার ঘাটতি ও জনসংখ্যাগত পরিবর্তনের কারণে জার্মানির চাকরির বাজারে বড় ধরনের পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান এখন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) মতো পদ পূরণের জন্য ফ্রিল্যান্সারদের দিকে ঝুঁকছে।
দক্ষতার ঘাটতি ও জনসংখ্যাগত পরিবর্তনের কারণে জার্মানির চাকরির বাজারে বড় ধরনের পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান এখন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) মতো পদ পূরণের জন্য ফ্রিল্যান্সারদের দিকে ঝুঁকছে।
১০ কানাডা:
অনলাইনে কাজ করার মতো অনেক মার্কেটপ্লেস আছে, সেগুলোতেই সাধারণত বেশির ভাগ ফ্রিল্যান্সার কাজ পান। এ ছাড়া অনেকেই নিজের ওয়েবসাইট বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক, টুইটার, লিঙ্কডইন ইত্যাদি) সরাসরি ক্লায়েন্ট বা গ্রাহক বা নিয়োগকারী খুঁজে তাদের চাহিদামতো কাজ করেন
অনলাইনে কাজ করার মতো অনেক মার্কেটপ্লেস আছে, সেগুলোতেই সাধারণত বেশির ভাগ ফ্রিল্যান্সার কাজ পান। এ ছাড়া অনেকেই নিজের ওয়েবসাইট বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক, টুইটার, লিঙ্কডইন ইত্যাদি) সরাসরি ক্লায়েন্ট বা গ্রাহক বা নিয়োগকারী খুঁজে তাদের চাহিদামতো কাজ করেনছবি: কোলাজ
কানাডায় ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা প্রায় ২৭ লাখ। যদিও এ সংখ্যা নিয়ে সঠিক তথ্য স্পষ্ট নয়। কয়েকটি সূত্র ১৭ লাখ বলেছে। তবে কানাডায় অন্তত ২৭ লাখ স্বনির্ভর পেশাজীবী রয়েছেন। তাই শুধু ফ্রিল্যান্সার বলতে হলে ১৭ লাখ বলাই অধিক যুক্তিযুক্ত।
দেশটিতে ফ্রিল্যান্সারদের বার্ষিক গড় আয় প্রায় ২৮ হাজার কানাডিয়ান ডলার, যা প্রায় ২১ হাজার মার্কিন ডলারের সমান। কানাডায় থ্রিডি ডিজাইন ও অ্যানিমেশন খাতে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে; সঙ্গে ফটোশপ ও লোগো ডিজাইন কাজও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।