আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নরওয়ের অর্থমন্ত্রী ও সামরিক জোট ন্যাটোর সাবেক মহাসচিব ইয়েন্স স্টলটেনবার্গের কাছে সরাসরি নোবেল শান্তি পুরস্কার চেয়েছেন। গত মাসে শুল্ক নিয়ে আলোচনার সময় এই ট্রাম্প এই দাবি করেন বলে জানিয়েছে নরওয়েজিয়ান পত্রিকা দৈনিক ডাগেনস নায়েরিংস্লিভ।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) পত্রিকাটির একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইসরায়েল, পাকিস্তান ও কম্বোডিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশ শান্তি চুক্তি বা যুদ্ধবিরতি মধ্যস্থতার কারণে ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে। চারজন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই নরওয়েজিয়ান সম্মান অর্জন করায় ট্রাম্পও মনে করেন, তিনি এই পুরস্কারের যোগ্য। তাছাড়া ট্রাম্প এর আগেও স্টলেনবার্গের সঙ্গে নোবেল শান্তি পুরস্কার নিয়ে কথা বলেছেন।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, হঠাৎ করেই, যখন অর্থমন্ত্রী জেন্স স্টলটেনবার্গ ওসলো শহরে হাঁটছিলেন, তখন ট্রাম্প ফোন করেন। পত্রিকাটি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাতে লিখেছে, তিনি (ট্রাম্প) নোবেল শান্তি পুরস্কার চাইছিলেন ও শুল্ক নিয়ে আলোচনা করছিলেন।
রয়টার্সকে দেওয়া এক মন্তব্যে স্টলটেনবার্গ বলেন, হোয়াইট হাউজ গত ৩১ জুলাই নরওয়ে থেকে আমদানির ওপর ১৫ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা করে, যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমান। স্টলটেনবার্গ বুধবার বলেন, নরওয়ে ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এ শুল্ক ইস্যুতে এখনো আলোচনা চলছে। ফোনালাপে হোয়াইট হাউজের কয়েকজন কর্মকর্তা, যার মধ্যে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট ও বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ারও ছিলেন।
স্টলটেনবার্গ আরও বলেন, ফোনালাপটি হয়েছিল শুল্ক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে, যা ট্রাম্পের নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস স্টোরের সঙ্গে কথা বলার আগের প্রস্তুতির অংশ ছিল। আলোচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে আমি এর বেশি কিছু বলব না।
এ বিষয়ে হোয়াইট হাউজ ও নরওয়েজীয় নোবেল কমিটির কাছে মন্তব্যের অনুরোধ করা হলেও, তারা কোনো সাড়া দেয়নি।
প্রতি বছর শত শত মানুষ নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন। সুইডিশ শিল্পপতি আলফ্রেড নোবেলের ইচ্ছানুযায়ী, নরওয়ের পার্লামেন্ট কর্তৃক নিযুক্ত পাঁচ সদস্যের নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি বিজয়ীদের মনোনীত করেন। প্রতি বছরের অক্টোবরে নরওয়ের রাজধানী অসলোতে পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়। সূত্র: রয়টার্স