আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনের শিশুদের জোরপূর্ব রাশিয়ায় স্থানান্তরের অভিযোগে ২০২৩ সালের মার্চে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।
যুদ্ধক্ষেত্র থেকে বেসামরিকদের জোরপূর্বক স্থানান্তর একটি যুদ্ধাপরাধ। পুতিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তুলে পরোয়ানা জারি করা হয়। এই পরোয়ানার কারণে পুতিন তার দক্ষিণ আফ্রিকা সফর বাতিল করে। এছাড়া নির্দিষ্ট কোনো দেশ ছাড়া বিশ্বের অন্য কোথাও যাওয়া বাদ দিয়েছেন তিনি।
ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধের আলোচনা করতে আজ যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় যাচ্ছেন পুতিন। সেখানে ট্রাম্পের সঙ্গে তার বৈঠক করবেন তিনি।
পুতিনকে কি যুক্তরাষ্ট্র গ্রেপ্তার করবে?
রোম চুক্তির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সৃষ্টি হয়েছিল। ২০০০ সালে এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন। তবে দেশটির আইনসভার উচ্চকক্ষ সিনেট কখনো এটি অনুমোদন দেওয়ার উদ্যোগ নেয়নি।
এরপর ২০০২ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ এই আদালতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করেন। তিনি দাবি করেন, এই আদালত যুক্তরাষ্ট্রের সার্বভৌমতা লঙ্ঘন করেছে।
এ কারণে এ আদালতের পরোয়ানার কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা যুক্তরাষ্ট্রে নেই।
আবার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর আইসিসির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়েছেন। বিশেষ করে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারিতে তিনি ক্ষুব্ধ।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের আগস্টে মঙ্গোলিয়া সফরে গিয়েছিলেন পুতিন। দেশটি যদিও আইসিসির সদস্য। তবুও তারা পুতিনকে গ্রেপ্তার করেনি। এজন্য মঙ্গোলিয়াকে কোনো ধরনের পরিণতি ভোগ করতে হয়নি।
আইসিসি মূলত সদস্য দেশগুলোর ওপর নির্ভরশীল। যদি কোনো দেশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে নেদারল্যান্ডসের হেগে নিয়ে যায়, শুধুমাত্র তখনই তার বিরুদ্ধে বিচার শুরু করতে পারে তারা। সূত্র: বিবিসি