এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে একের পর এক রেকর্ড হচ্ছে। এবার রুপার দামেও নতুন রেকর্ড হয়েছে। বুধবার (৮ অক্টোবর) প্রতি আউন্স স্পট রুপার দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৫৭ ডলার, যা ইতিহাসে সর্বোচ্চ। মূল্যবান ও শিল্প-দুই খাতেই ব্যবহৃত এই ধাতুটির দাম চলতি বছর এখন পর্যন্ত প্রায় ৭০ শতাংশ বেড়েছে। এটি ২০১০ সালের পর সবচেয়ে বড় বার্ষিক প্রবৃদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছে।
একই দিনে স্বর্ণের দামও প্রথমবারের মতো ৪ হাজার ডলার প্রতি আউন্সের সীমা ছাড়ায়। তামার দামও পৌঁছে যায় ১৬ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে।
এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম রয়টার্স।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ খনিজ তালিকায় রুপা যুক্ত হওয়ায় সম্ভাব্য শুল্ক নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। এর প্রভাবে গত সপ্তাহে কোমেক্সের শেয়ারের দাম রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে।
লন্ডন বুলিয়ান মার্কেট অ্যাসোসিয়েশনের (এলবিএমএ) তথ্যানুযায়ী, সেপ্টেম্বরের শেষে লন্ডনের ভল্টে ছিল ২৪ হাজার ৫৮১ টন রুপা, যার মূল্য প্রায় ৩৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে প্রতি আউন্স স্বর্ণ কিনতে লাগে ৮২ আউন্স রুপা; যা গত এপ্রিলে ছিল ১০৫ আউন্স। এতে বোঝা যাচ্ছে, স্বর্ণের মতো রুপার দামও দ্রুত বাড়ছে।
ওএএনডিএর বিশ্লেষক জাইন ভাওদা জানিয়েছেন, অনেক খুচরা বিনিয়োগকারী রুপাকে এখন নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে দেখছেন। এতে রুপার চাহিদা বাড়ছে এবং দামও ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। সরবরাহ সংকট ও শিল্প খাতে চাহিদা বাড়ার কারণে আগামী ছয় মাসে রুপার দাম ৫৫ ডলার প্রতি আউন্সে পৌঁছাতে পারে।
চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের কোমেক্স গুদামে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ হয়েছে, যা লন্ডনের স্পট মার্কেটেও তারল্য সংকট তৈরি করেছে-আর এটি রুপার দাম আরও বাড়িয়েছে।
এইচএসবিসির বিশ্লেষক জেমস স্টিল জানান, মার্কিন আমদানি শুল্কের আশঙ্কায় বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। এতে লন্ডন স্পট ও নিউইয়র্ক ফিউচার দামের মধ্যে বড় পার্থক্য তৈরি হয়, যার ফলে নিউইয়র্কে স্বর্ণ ও রুপা স্থানান্তর লাভজনক হয়ে ওঠে।