মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫, ০৭:১৮:২৭

এবার তিনটি প্রধান ও দশটি উপখাতে বিদেশি কর্মী নেবে মালয়েশিয়া

এবার তিনটি প্রধান ও দশটি উপখাতে বিদেশি কর্মী নেবে মালয়েশিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাতে শ্রমিক ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে বিদেশি কর্মী নিয়োগে বিশেষ অনুমোদন সুবিধা ঘোষণা করেছে মালয়েশিয়া সরকার। এ বিষয়ে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদেশি কর্মী কোটার আবেদনগুলো ‘কেস বাই কেস’ ভিত্তিতে অনুমোদন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এক বিবৃতিতে এ সুবিধার ঘোষণা দেন।

তিনি জানান, মালয়েশিয়ার সরকার শ্রমিক ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে তিনটি প্রধান খাত ও দশটি উপখাতে বিদেশি কর্মী কোটার আবেদনের জন্য এ বিশেষ সুবিধা দিতে সম্মত হয়েছে।

সুবিধাপ্রাপ্ত প্রধান তিনটি খাত হলো, বৃক্ষরোপণ, কৃষি, খনি ও খনন। এছাড়াও দশটি উপখাত হলো- নিরাপত্তা পরিসেবা, ধাতু স্ক্র্যাপ সামগ্রী, পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতা ও ভবন রক্ষণাবেক্ষণ, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা, লন্ড্রি, রেস্তোরাঁ, স্থল ভিত্তিক গুদামজাতকরণ, কার্গো হ্যান্ডলিং, সরকারি প্রকল্পের অধীনে নির্মাণ কাজ ও মালয়েশিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি কর্তৃক অনুমোদিত নতুন বিনিয়োগ।

বিদেশি কর্মী নিয়োগ সুবিধা দেওয়ার মাধ্যমে সরকার শুধু গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলো শ্রম চাহিদা পূরণ করছে না, বরং অর্থনৈতিক স্বার্থ ও জনগণের কল্যাণের মধ্যে ভারসাম্য নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে মাদানি সরকারের অঙ্গীকারও প্রতিফলিত হচ্ছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, এ বিশেষ প্রক্রিয়ার অধীনে যেসব নিয়োগকর্তা বিদেশি কর্মী নিয়োগ প্রয়োজন তারা সরাসরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে ওয়ান স্টপ সেন্টার (ওএসসি) ফর ফরেন ওয়ার্কার ম্যানেজমেন্টে তাদের কোটা আবেদন জমা দিতে পারবেন।

তবে প্রতিটি আবেদন উপদ্বীপ মালয়েশিয়ার শ্রম বিভাগ (জেটিকেএসএম) এবং সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর মূল্যায়নের সাপেক্ষে বিবেচিত হবে।

এর জন্য নিয়োগকর্তাদের প্রয়োজনীয় সব সহায়ক নথিপত্র জমা দিতে হবে এবং প্রতিটি আবেদন তার এবং জনবলের প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে। এ নমনীয় ও চাহিদাভিত্তিক পদ্ধতি শিল্পগুলোকে দক্ষতার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যেতে এবং প্রতিযোগিতামূলক থাকতে সাহায্য করবে বলে মনে করেন তারা।

এছাড়াও এ পদক্ষেপে সরকারকে আগামী বছর বিদেশি কর্মী নিয়োগের নীতি ও ব্যবস্থাপনার প্রক্রিয়া পর্যালোচনা ও শক্তিশালী করার সুযোগ দেবে, যা ২০৩০ সালের মধ্যে মোট কর্মশক্তির দশ শতাংশের বিদেশি কর্মীর সংখ্যা সীমাবদ্ধ করার জাতীয় লক্ষ্যের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ।

তবে কোন দেশ থেকে কী পরিমাণ কর্মী আনা হবে সে বিষয়ে এখনো কোনো নিশ্চয়তা দেয়নি দেশটির সরকার। এ ঘোষণার পর বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া আসতে আগ্রহী কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান করেন বাংলাদেশ কমিটির নেতারা।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে