অ্যাপল আইফোন এয়ার নামে নতুন স্মার্টফোন উন্মোচন করেছে। এটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে হালকা ও স্লিম ডিজাইনের আইফোন। স্যামসাং গ্যালাক্সি সিরিজের বিপরীতে অ্যাপল দেখাতে চাইছে, পাতলা ডিভাইসেও শক্তিশালী পারফরম্যান্স সম্ভব।
আইফোন এয়ার
এই নতুন আইফোন বাজারে এসেছে গত সপ্তাহে। এটি পাওয়া যাচ্ছে বিশ্বব্যাপী সব অ্যাপল স্টোরে। আইফোন এয়ারের মূল লক্ষ্য প্রিমিয়াম সেগমেন্টে স্যামসাংয়ের আধিপত্য চ্যালেঞ্জ করা।
আইফোন এয়ার বনাম গ্যালাক্সি এজ
আইফোন এয়ারের পুরুত্ব মাত্র ৫.৬ মিলিমিটার। স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৫-এর পুরুত্ব ৭.২ মিলিমিটার। ওজনে আইফোন এয়ার অনেক হালকা। ডিজাইনে এটি অনেক বেশি মজবুত।
আইফোন এয়ারে ব্যবহার করা হয়েছে টাইটেনিয়াম ফ্রেম। সামনে-পিছনে আছে সেরামিক শিল্ড ২। স্যামসাং গ্যালাক্সিতে আর্মার অ্যালুমিনিয়াম বডি ব্যবহার করা হয়েছে। দুই কোম্পানির ডিজাইন ফিলোসফিতেই স্পষ্ট পার্থক্য দেখা যাচ্ছে।
হার্ডওয়্যার ও পারফরম্যান্স তুলনা
আইফোন এয়ারে আছে এ১৯ প্রো চিপ। যোগ হয়েছে সি১এক্স মডেম। ওয়াইফাই ৭ ও ব্লুটুথ ৬ সাপোর্ট করবে এন১ নেটওয়ার্কিং চিপ। স্যামসাং গ্যালাক্সি এজে আছে স্ন্যাপড্রাগন ৮ এলিট প্রসেসর।
স্যামসাং গ্যালাক্সি এজের ব্যাটারি ৩,৯০০ এমএএইচ। আইফোন এয়ারের ব্যাটারি আকারে ছোট। তবে অ্যাপলের অপ্টিমাইজেশনে ব্যাটারি লাইফ ভালো। ব্যবহারকারীরা আইফোন এয়ারের ব্যাটারি পারফরম্যান্স নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন।
ভবিষ্যতের প্রিমিয়াম ফোন মার্কেট
আইফোন এয়ার এখন প্রথম জেনারেশনে। অ্যাপল এটি উন্নত করতে থাকবে কি না, তা নিশ্চিত নয়। স্যামসাং ও অন্যান্য অ্যান্ড্রয়েড ম্যানুফ্যাকচারার জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ রেফারেন্স।
স্লিম ফোন আবার ট্রেন্ড সেট করতে পারে। আইফোন এয়ারের প্রিমিয়াম ফিল স্যামসাংকে নতুনভাবে ভাবতে বাধ্য করবে। দুই কোম্পানিই একে অপরের কাছ থেকে শিখতে পারে।
অ্যাপলের নতুন আইফোন এয়ার প্রিমিয়াম স্মার্টফোন মার্কেটে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। স্যামসাং গ্যালাক্সি সিরিজের জন্য এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ভবিষ্যতে স্লিম ও শক্তিশালী ফোনের দিকে ঝুঁকবে পুরো ইন্ডাস্ট্রি।