অ্যাপল তাদের নতুন আইফোন এয়ার মডেলের উৎপাদন হ্রাস করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার দ্য এলেকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রত্যাশিত চাহিদা না থাকায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যাপল। মিজুহো সিকিউরিটিজের বিশ্লেষকের বরাত দিয়ে বলা হয়, আইফোন এয়ার উৎপাদন প্রায় ১০ লাখ ইউনিট কমানো হতে পারে।
আইফোন এয়ার উৎপাদন
তবে আইফোনের সামগ্রিক চাহিদা কমেনি। বরং আইফোন ১৭ ও আইফোন ১৭ প্রো মডেলের প্রতি ব্যবহারকারীদের আগ্রহ বেশি থাকায় সেগুলোর উৎপাদন বৃদ্ধি করা হচ্ছে। অ্যাপলের এই সিদ্ধান্ত বাজারে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
আইফোন ১৭-এর চাহিদায় রেকর্ড
আইফোন এয়ারের চেয়ে আইফোন ১৭ মডেলের গ্রহণযোগ্যতা বেশি। বিশেষ করে ব্যাটারি লাইফের ব্যাপক উন্নতির কারণে ব্যবহারকারীদের মধ্যে এই মডেলটি জনপ্রিয় হয়েছে। আইফোন ১৭-এ ভিডিও প্লেব্যাক ৩০ ঘন্টা, যা পূর্ববর্তী মডেলের চেয়ে উল্লেখযোগ্য হারে বেশি।
বিভিন্ন দেশে আইফোন ১৭-এর ডেলিভারি সময় ২-৩ সপ্তাহ পর্যন্ত রয়েছে। চীনে প্রি-অর্ডার রেকর্ড ভেঙেছে আইফোন ১৭। Bloomberg এর তথ্য অনুযায়ী, প্রথম কয়েক মিনিটেই আইফোন ১৬-এর ২৪ ঘন্টার প্রি-অর্ডার ছাড়িয়ে গেছে নতুন মডেলটি।
আইফোন এয়ার কেন পিছিয়ে?
আইফোন এয়ারের দাম আইফোন ১৭-এর চেয়ে বেশি। অথচ ক্যামেরা সেটআপ আইফোন ১৭ প্রো-এর চেয়ে কম শক্তিশালী। মূল্য ও ফিচারের দিক থেকে এই মডেলটি মধ্যবর্তী অবস্থানে রয়েছে। এটিই এর জনপ্রিয়তায় বাধা geworden।
বিশ্লেষকদের মতে, আইফোন এয়ার আসলে ভবিষ্যতের ফোল্ডেবল আইফোনের প্রস্তুতিমাত্র। Reuters এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৬ বা ২০২৭ সালে ফোল্ডেবল আইফোন আনতে পারে অ্যাপল। আইফোন এয়ারে ব্যবহৃত পাতলা ডিজাইন প্রযুক্তিই পরবর্তী মডেলগুলোতে কাজে লাগবে।
**অ্যাপল** তাদের পণ্য কাঠামোতে আইফোন এয়ারের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। কম চাহিদা সত্ত্বেও ভবিষ্যতের জন্য প্রযুক্তিগত অভিজ্ঞতা অর্জনই এই মডেলের প্রধান লক্ষ্য বলে মনে করা হচ্ছে।