এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ২০২৬ সালে বেশ কয়েকটি সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণ হবে। এর মধ্যে রয়েছে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণও। ২০২৬ সালে ইউরোপ থেকে দেখা যাবে এই পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। চাঁদ আবারও পুরোপুরি ঢাকা দিয়ে দেবে সূর্যকে। ফলে ইউরোপের বুকে দিনের বেলাতেই অন্ধকার নেমে আসবে। এখন থেকেই ওই বিশেষ দিনের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে।
২০২৬ সালে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ কবে?
২০২৬ সালের ১২ আগস্ট পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ হবে রয়েছে। ওই দিন বুধবার পড়ছে। চাঁদের সামনে পুরোপুরি ঢেকে যাবে সূর্য। শুধুমাত্র পাতলা বলয়ের আকারে সূর্যালোক দেখা যেতে পারে। গ্রিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, স্পেন এবং রাশিয়ার কিছু জায়গা থেকে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে ওই দিন। কখন, কোন সময় দেখা যাবে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ, তা কোথা থেকে দেখা হচ্ছে, তার ওপর নির্ভর করছে।
পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সময় পৃথিবীর ওপর যে রেখা বরাবর চাঁদের ছায়া পড়ে, তাকে বলা হয় পূর্ণগ্রাসের পথ। ওই রেখা থেকেই পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের পুরো প্রক্রিয়া চাক্ষুষ করা সম্ভব হয়। এখনও পর্যন্ত যে তথ্য মিলেছে, সেই অনুযায়ী, ২০২৬ সালের ১২ আগস্ট ৯৬ মিনিটে পৃথিবীর বুকে ২৯৩ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করবে চাঁদের ছায়া। রাশিয়ার উত্তর ভাগ হয়ে গ্রিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড এবং স্পেনের দিকে আগাবে। ওই সময়ের মধ্যে ২ মিনিট ১৮ সেকেন্ড স্থায়ী হবে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। অর্থাৎ ওই ২ মিনিট ১৮ সেকেন্ডের জন্য পুরোপুরি সূর্যকে ঢেকে দেবে চাঁদ।
এ বছরের শুরুতেই পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হয়েছে পৃথিবীর কিছু দেশ। ২০২৫ সালের ৮ এপ্রিল মেক্সিকো, আমেরিকা, কানাডা থেকে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যায়। প্রায় ৪ মিনিট ২৭ সেকেন্ড স্থায়ী হয়েছেল ওই পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা সেই বিশেষ মুহূর্তকে ক্যামেরাবন্দি করে। পাশাপাশি, গ্রহণের সময় বায়ুমণ্ডলে কী প্রভাব পড়ছে, তা জানতে ওই সময়ে মহাকাশ থেকে নজরদারিও চালায় নাসা।
পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ কী?
পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ একটি গুরুত্বপূর্ণ মহাজাগতিক ঘটনা। পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ বলতে সেই বিশেষ মুহূর্তকে বোঝায়, যখন চাঁদ কার্যতই ঢেকে দেয় সূর্যকে। এমনিতে আকারে চাঁদের চেয়ে ৪০০ গুণ বড় সূর্য। কিন্তু পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব যত, তার চেয়ে সূর্যের দূরত্ব ঢের বেশি। তাই চাঁদ যখন পৃথিবী এবং সূর্যের মাঝে অবস্থান করে, সূর্য কার্যত ঢেকে যায়। শুধু বলয়াকারে তার বাইরের আলোকমণ্ডলের পাতলা স্তরই চোখে পড়ে পৃথিবী থেকে।