আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এবার হত্যা, ধ/র্ষ/ণ আর লুটপাটের শহরে পরিণত হয়েছে সুদানের আল ফাশির। দারফুর অঞ্চলের শহরটিজুড়ে অব্যাহত আছে আরএসএফ’র নারকীয় তাণ্ডব। শহরটিতে মানবিক সহায়তা প্রবেশের সকল পথ বন্ধ করে দিয়েছে আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা। প্যারামিলিটারি বাহিনী দখল নেয়ার পর, এরই মাঝে নতুন করে আল ফাশির শহর ও এর আশেপাশের এলাকা ছেড়েছে অন্তত ৬২ হাজার বাসিন্দা। কেবল দারফুর নয়, উত্তর করদোফানেও চলছে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়।
দারফুর শহরটি জুড়ে চলছে নারকীয় তাণ্ডব। পথে ঘাটে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে মানুষের লাশ। আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফ আল ফাশির ঘাঁটি দখলের পর থেকেই অঞ্চলটিতে শুরু হয়েছে ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাযজ্ঞ। পশুর মত হিংস্র হয়ে উঠেছে বাহিনীটির সদস্যরা। হত্যা, লুটপাট, ধ/র্ষ/ণ- বাদ নেই কোনো নৃশংসতা।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেন, উত্তর দারফুরের পরিস্থিতি এখনও ভয়াবহ। বেসামরিকদের ওপর হামলা চলছেই। আল ফাশিরে মানবিক সাহায্যের প্রবেশ বন্ধ, এবং নিরাপত্তা খুঁজতে মানুষ তাওইলা ও অন্যান্য শহরের দিকে পালাচ্ছে। নিরাপত্তার অভাবে পথে চলাচলও সীমিত রয়েছে।
রাজধানী আল ওবেইদের উত্তরে অবস্থিত উত্তর করদোফানেও উদ্বেগজনক মানবিক পরিস্থিতি। জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা IOM-এর হিসাব অনুযায়ী, শুধু এই সপ্তাহেই অঙ্গরাজ্যটির বারা শহর থেকে স্থানান্তরিত হয়েছে প্রায় ৩৬ হাজার মানুষ।
সেখানে পাঁচ রেড ক্রিসেন্ট স্বেচ্ছাসেবককে ফাঁসিতে ঝোলানোর অভিযোগও উঠেছে প্যারামিলিটারি বাহিনীটির বিরুদ্ধে। উত্তর আফ্রিকার দেশটিতে চালানো নির্বিচার হত্যাকাণ্ডকে গণহত্যা আখ্যা দিয়েছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা। দারফুর ও উত্তর করদোফানে বেসামরিকদের সুরক্ষা ও মানবিক সাহায্যের অবাধ প্রবেশ নিশ্চিতের জোর দাবি জানিয়েছে তারা। তুলেছে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত এবং দায়ীদের বিচারের দাবি।