আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শক্তিশালী ডলারের প্রভাবে মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) আবারও প্রতি আউন্স সোনার দাম ৪ হাজার ডলারের নিচে নেমে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রে ডিসেম্বর মাসে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা হ্রাস এবং ওয়াশিংটন-বেইজিং বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমিত হওয়ায় সোনার প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কিছুটা কমেছে।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, স্পট গোল্ডের দাম ০ দশমিক ৪ শতাংশ কমে দাঁড়ায় প্রতি আউন্স ৩ হাজার ৯৮৪ দশমিক ৪৯ ডলারে। ডিসেম্বর সরবরাহের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ফিউচার মার্কেটে সোনার দাম ০ দশমিক ৫ শতাংশ কমে হয় ৩ হাজার ৯৯৪ দশমিক ৪০ ডলার।
তিন মাসের সর্বোচ্চ অবস্থানে ডলার স্থিতিশীল রয়েছে। বিভক্ত ফেডারেল রিজার্ভের অবস্থান ট্রেডারদের সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা নিয়ে বাজি ধরায় সতর্ক করেছে।
কে–সিএম ট্রেডের প্রধান বাজার বিশ্লেষক টিম ওয়াটারার বলেন, শক্তিশালী ডলার এখন সোনার জন্য কাঁটার মতো কাজ করছে। ট্রেডাররা বছরের শেষ দিকে আরেক দফা সুদের হার কমানো হবে কি না, তা নতুন করে হিসাব করছেন।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ চলতি বছরে দ্বিতীয়বারের মতো সুদের হার কমালেও, চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল জানিয়েছেন, এ বছর আরেকটি হার কমানো ‘নিশ্চিত নয়’।
সিএমই’র ফেডওয়াচ টুল অনুযায়ী, ডিসেম্বরের বৈঠকে হার কমানোর সম্ভাবনা এখন ৬৫ শতাংশে নেমে এসেছে, যা পাওয়েলের মন্তব্যের আগে ছিল ৯০ শতাংশেরও বেশি।
ফেড কর্মকর্তারা সোমবার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করেছেন। ডিসেম্বরের নীতি বৈঠকের আগে এই বিতর্ক আরও জোরালো হতে পারে—বিশেষত যুক্তরাষ্ট্র সরকারের শাটডাউনের কারণে শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরোসহ গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক তথ্য প্রকাশে বিলম্বের কারণে।
সাধারণত, কম সুদের হার এবং অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সময় সোনা বিনিয়োগকারীদের কাছে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে বিবেচিত হয়।
বিনিয়োগকারীরা এখন অপেক্ষা করছেন বুধবার প্রকাশিতব্য এডিপি কর্মসংস্থান তথ্য ও এ সপ্তাহের আইএসএম পিএমআই সূচকের জন্য, যা ফেডের পরবর্তী নীতিগত দিকনির্দেশনা সম্পর্কে ধারণা দেবে।
ওয়াটারার বলেন, যদি এডিপি রিপোর্ট আবারও দুর্বল হয়, তাহলে স্বর্ণের পুনরুদ্ধারের সুযোগ পেতে পারে।
চলতি বছরে এখন পর্যন্ত সোনার দাম বেড়েছে প্রায় ৫৩ শতাংশ, যদিও ২০ অক্টোবরের রেকর্ড সর্বোচ্চ দামের তুলনায় তা এখন ৮ শতাংশেরও বেশি কমেছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহে জানান, বেইজিংয়ের কিছু ছাড়ের বিনিময়ে ওয়াশিংটন চীনের ওপর আরোপিত শুল্ক কিছুটা কমাতে রাজি হয়েছে।
অন্যদিকে, রুপার দাম সামান্য ০ দশমিক ১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে প্রতি আউন্স ৪৮ দশমিক ০৫ ডলারে। প্লাটিনামের দাম ০ দশমিক ৩ শতাংশ কমে হয়েছে ১ হাজার ৫৬১ দশমিক ১০ ডলার এবং প্যালাডিয়ামের দর ১ দশমিক ৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪২২ দশমিক ৪৩ ডলারে।