আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীন নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি তাদের প্রথম ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপল্ট- সজ্জিত বিমানবাহী রণতরী ‘ফুজিয়ান’-কে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বের সামনে উন্মোচন করেছে। বুধবার(৫ নভেম্বর) দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এক জমকালো অনুষ্ঠানে ‘ফুজিয়ান’-এর কমিশনিং ও পতাকা প্রদান অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন। এই রণতরীটিকে চীনের সামরিক সক্ষমতা এবং যুদ্ধক্ষমতা বৃদ্ধির এক ভয়ংকর প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
‘ফুজিয়ান’ (হাল নম্বর ১৮) বর্তমানে চীনের নৌবাহিনীতে থাকা তিনটি বিমানবাহী রণতরীর মধ্যে সবচেয়ে উন্নত। পূর্ব চীনের ফুজিয়ান প্রদেশের নামানুসারে নামকরণ করা এই রণতরীটি সম্পূর্ণভাবে চীনের নিজস্ব নকশায় তৈরি এবং ২০২২ সালের জুনে প্রথম পানিতে নামানো হয়।
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনকারী শি জিনপিং হাইনান প্রদেশের সানইয়া শহরের নৌঘাঁটিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানের পর রণতরীটিতে আরোহন করে পরিদর্শন করেন। বুধবারের অনুষ্ঠানে নৌবাহিনী ও রণতরী নির্মাণে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রায় দুই হাজার প্রতিনিধি অংশ নেন। প্রেসিডেন্ট শি রণতরীর ক্যাপ্টেন ও রাজনৈতিক কমিশনারকে চীনা পিপলস লিবারেশন আর্মির পতাকা প্রদান করেন।
শি রণতরীতে অবস্থানকালে চীনের বিমানবাহী রণতরী উন্নয়ন, যুদ্ধক্ষমতা এবং বিশেষ করে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপল্ট সিস্টেম সম্পর্কে অবহিত হন। ফ্লাইট ডেকে সারিবদ্ধভাবে রাখা ছিল নতুন প্রজন্মের যুদ্ধবিমান—জে-৩৫ ও জে-১৫টি ফাইটার জেট। পাইলটদের সঙ্গে কথা বলার সময় শি তাদের দক্ষতা আরও বাড়ানোর আহ্বান জানান।
রণতরীর কন্ট্রোল টাওয়ার ও পাইলট হাউস পরিদর্শন শেষে শি লগবুকে স্বাক্ষর করেন। রণতরীটিতে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপল্ট সিস্টেম ব্যবহারের সিদ্ধান্তটি প্রেসিডেন্ট শিরই ছিল। এর মাধ্যমে চীন তার নৌ সক্ষমতায় এক নতুন মাত্রা যোগ করল।