আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের জি-১১ এলাকায় জেলা ও দায়রা আদালত ভবনের বাইরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। ইসলামাবাদ পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দেশটির সংবাদমাধ্যম ডন’কে নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন।
হামলার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, একটি নিরাপত্তা বেষ্টনীর পেছনে থাকা আগুনে ঝলসে যাওয়া একটি গাড়ির ধ্বংসাবশেষ থেকে আগুন এবং ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবী রুস্তম মালিক এএফপিকে জানান, আমি আমার গাড়ি পার্ক করে কমপ্লেক্সের ভেতরে ঢুকতেই গেটে বিকট শব্দ শুনি। সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। আইনজীবী এবং সাধারণ মানুষ জ্ঞানশূন্য হয়ে কমপ্লেক্সের ভেতরে দিগ্বিদিক ছুটতে শুরু করে। আমি গেটের কাছে দুটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখি, বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরে যায়।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ এবং প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এই ঘটনাকে আত্মঘাতী হামলা বলে উল্লেখ করেছেন। প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এক্স-এ (সাবেক টুইটার) একটি পোস্টে শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন, আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। তিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর ভূমিকার প্রশংসা করেছেন।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ এই ঘটনাকে সতর্কবার্তা হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, আমরা এখন যুদ্ধের মধ্যে আছি। যারা মনে করেন পাকিস্তান সেনাবাহিনী আফগান-পাকিস্তান সীমান্ত অঞ্চল এবং বেলুচিস্তানের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এই যুদ্ধ লড়ছে, তাদের জন্য আজ ইসলামাবাদ জেলা আদালতে হওয়া এই আত্মঘাতী হামলা একটি সতর্কবার্তা।
তিনি আরও যোগ করেন, এই পরিস্থিতিতে, কাবুলের শাসকদের সাথে সফল আলোচনার জন্য বৃহত্তর আশা পোষণ করা বৃথা হবে।