আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জেলবন্দি থাকা পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়ার দাবিতে ধর্মঘটে বসায় তার তিন বোনকে ধরে নিয়ে গেছে দেশটির পুলিশ।
গত মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রাওয়ালপিন্ডিতে অবস্থিত আদিয়ালা কারাগারের বাইরে থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। খবর দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশ আলোচনা করার পরও ইমরান খানের বোন আলীমা ধর্মঘট শেষ করতে অস্বীকৃতি জানান। বরং ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় নির্ধারণের দাবিতে জোর দেন তিনি ও তার অন্য দুই বোন। এরপর প্রথমে পুরুষ কর্মীদের সরিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ এবং মধ্যরাতে ইমরান খানের বোনদেরকে একটি পুলিশ ভ্যানে তুলে নিয়ে যায় নারী পুলিশ ইউনিট।
এই পদক্ষেপের পর ইমরান খানের বোনদের নেতৃত্বে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর ১০ ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি শেষ হয় এবং বাকি পিটিআইয়ের বাকি নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক বিবৃতিতে পিটিআই অভিযোগ করে, ইমরান খানের তিন বোন শান্তিপূর্ণভাবে আদিয়ালা কারাগারের বাইরে বসে থাকার সময় পুলিশ তাদের জোর করে আটক করেছে।
বিবৃতিতে আরও অভিযোগ করা হয়, খাইবার পাখতুন্খোয়ার প্রাদেশিক মন্ত্রী মীনা খান আফরিদি, এমএনএ শাহিদ খাটকসহ দলীয় আরও অনেক নেতাকর্মী, এমনকি নারী কর্মীরাও সহিংসতার শিকার হয়েছেন এবং তাদেরকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে বিরোধী জোট তেহরিক তাহাফফুয-এ-আইন-এ-পাকিস্তানের (টিটিএএপি) নেতা আল্লামা রাজা নাসির আব্বাস ইমরান খানের বোন ও অন্য নারী কর্মীদের ওপর পুলিশের এই আচরণের তীব্র নিন্দা জানান। আব্বাস বলেন, এটি মানবতা, বিশ্বাস ও নৈতিকতার সব নীতি লঙ্ঘন করেছে। নারীদের সঙ্গে এমন আচরণ মেনে নেওয়া যায় না এবং এটি ‘রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার গুরুতর অপব্যবহার’।
টিটিএএপি নেতা আরও অভিযোগ করেন, পাঞ্জাব পুলিশ প্রাদেশিক সরকারের নির্দেশে এ হামলা চালিয়েছে। ঘটনাটিকে একইসঙ্গে তিনি ‘মানবতার মুখে চপেটাঘাত’ এবং ‘বিপজ্জনক ও দমনমূলক মানসিকতার প্রতিফলন’ হিসেবে বর্ণনা করেন।
পাঞ্জাব সরকার বা পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযোগগুলোর বিষয়ে অবশ্য এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি।