ইলেক্ট্রনিক্স জায়েন্ট অ্যাপল প্রযুক্তিনির্ভর ও আধুনিক ডিজাইনের পণ্য তৈরিতে বিশ্বজুড়ে পরিচিত। আধুনিক ব্যবহারকারীর প্রয়োজন মাথায় রেখে তারা প্রায়ই ভিন্নধর্মী নানা ধরনের পণ্য তৈরি করে।
তারই ধারাবাহিকতায় অ্যাপল এবার বাজারে এনেছে ভিন্নধর্মী এক অ্যাকসেসরিজ। অনেকের কাছেই পণ্যটি অদ্ভুত মনে হলেও অ্যাপলের দাবি, এটি আধুনিক ব্যবহারকারীর কাজে লাগবে।
সিএনএনের এক প্রতিবেদন অনুসারে, অ্যাপল তাদের নতুন পণ্যের নাম দিয়েছে ‘আইফোন পকেট’। ফিতার কাপড়ে বোনা এই পণ্য দেখতে অনেকটা মোজার মতো। অ্যাপল জাপানের বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার ইসি মিয়াকের সঙ্গে যৌথভাবে এটি তৈরি করেছে।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যাপলের যে কোনো মডেলের আইফোনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার মতো করে তৈরি করা হয়েছে এই ‘পকেট’ । বিভিন্ন রঙে পাওয়া যাবে এটি।
অ্যাপলের ভাইস প্রেসিডেন্ট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন মলি অ্যান্ডারসন বলেন, অ্যাপল ও ইসি মিয়াকে কারুশিল্পকে গুরুত্ব দিয়ে নকশা তৈরি করে। এই অভিনব পকেট সেই ভাবনারই প্রতিফলন। এটি আইফোন, এয়ারপডসহ দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিস বহনের নতুন এক উপায় দেবে।
তবে পণ্যের দাম অনেকের কাছেই বিস্ময়কর মনে হয়েছে। অ্যাপল জানিয়েছে, ছোট সংস্করণের দাম ১৪৯ দশমিক ৯৫ ডলার আর লম্বা বা বড় সংস্করণের দাম ২২৯ দশমিক ৯৫ ডলার (প্রায় ২৮ হাজার টাকা)।
এই দামকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা–সমালোচনা। প্ল্যাটফর্ম এক্সে একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘একখানা কাটা মোজার দাম ২৩০ ডলার! অ্যাপলের ভক্তরা অ্যাপলের নাম থাকলেই সবকিছুর জন্য টাকা দেবে।’
তবে কেউ কেউ এই পণ্যের ধারণাকে ভিন্নভাবে দেখছেন। প্রযুক্তি বিশ্লেষক এমজি সিগলার তার স্পাইগ্লাস নিউজলেটারে একে ‘অবিশ্বাস্য দামি মোজা’ উল্লেখ করলেও বলেন, এর পেছনের চিন্তাধারাটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
সিগলার লেখেন, ইসি মিয়াকে ছিলেন স্টিভ জবসের প্রিয় ফ্যাশন ডিজাইনারদের একজন। এই পণ্য আসলে আইফোনকে ধীরে ধীরে ‘পরিধানযোগ্য’ ডিভাইসে রূপান্তরিত করার চলমান প্রবণতার অংশ।
তিনি আরও বলেন, যেখানে একসময় দৌড়বিদেরা হাতে ব্যান্ড বেঁধে ফোন রাখতেন, এখন অনেকে প্রতিদিন আইফোন বহনের জন্য স্ট্র্যাপ ব্যবহার করছেন। এর আগে চলতি বছর অ্যাপল বাজারে এনেছিল আইফোন ক্রসবডি স্ট্র্যাপ, যার দাম ছিল ৫৯ ডলার।
সিগলারের ভাষায়, ‘এটি আরও একটি অ্যাকসেসরিজ—আপনার পোশাকে একটু রঙ ও নতুনত্ব যোগ করবে।’