সোমবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৫, ০৯:১৬:৫৭

আবারও ভূমিকম্প, এবারের উৎপত্তিস্থল যেখানে

আবারও ভূমিকম্প, এবারের উৎপত্তিস্থল যেখানে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাংলাদেশে গত শুক্রবার (২১ নভেম্বর) শক্তিশালী ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটতে না কাটতেই এবার কেঁপে উঠল প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার। রোববার (২৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা ৩৯ মিনিটে ৫.৩ মাত্রার এই ভূকম্পন আঘাত হানে। আন্দামান সাগরে উৎপত্তি হওয়া এই ভূমিকম্পের প্রভাব অনুভূত হয়েছে থাইল্যান্ডেও। এক সপ্তাহের মধ্যে অঞ্চলে এটি দ্বিতীয় বড় ভূমিকম্পের ঘটনা, যা ভূতাত্ত্বিক সক্রিয়তা বৃদ্ধি নিয়ে জনমনে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের দাওয়েই শহর থেকে ২৬৭ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে আন্দামান সাগরে। ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল এর কেন্দ্র। তাৎক্ষণিকভাবে এই ভূমিকম্পে কোনো বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

গত কয়েকদিনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে কম্পনের ধারাবাহিকতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা এই অঞ্চলের ভূতাত্ত্বিক সক্রিয়তা বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছে।

এর আগে গত শুক্রবার বাংলাদেশে ৫.৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে, যেখানে অন্তত ১০ জন প্রাণ হারান। ওই ঘটনার পরদিন (শনিবার) বাংলাদেশে আরও তিনবার মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে, যা বিশেষজ্ঞরা আগের ভূমিকম্পের আফটারশক বলে মনে করছেন।

ভারতের ভূকম্পনবিদ্যা সংস্থা (এনসিএস) জানিয়েছে, বাংলাদেশের মতো শনিবার মিয়ানমারেও অন্তত তিনটি মৃদু ভূকম্পন রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার সকাল ৬টা ৪১ ও ৭টা ১৯ মিনিটে রিখটার স্কেলে যথাক্রমে ৩.৫ ও ৩.৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এরপর রাত ১১টা ১ মিনিটে (বাংলাদেশ সময়) মিয়ানমারে ৩.৪ মাত্রার আরও একটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

তবে এই মৃদু কম্পনগুলোতে কোনো বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। ঘন ঘন এই ভূকম্পনগুলো এই অঞ্চলকে সম্ভাব্য ঝুঁকির বিষয়ে ক্রমাগত সতর্ক করে যাচ্ছে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে