মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১১:৪৩:৩৩

বিশ্বের মাত্র একটি দেশেই আছে ভয়ংকর এই যুদ্ধবিমান!

বিশ্বের মাত্র একটি দেশেই আছে ভয়ংকর এই যুদ্ধবিমান!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্ক প্রথমবারের মতো তাদের মনুষ্যবিহীন যুদ্ধবিমান বাইরকতার কিজেলেলমা আকাশ থেকে আকাশে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় সফল হয়েছে। বিশ্বের আর কোনো মনুষ্যবিহীন যুদ্ধবিমান এখনো এ ধরনের সক্ষমতা দেখাতে পারেনি।

দেশটির শীর্ষ প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বাইকার সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে এ উন্নত ইউএভি তৈরি করেছে। তুরস্কের সিনোপ উপকূলে পরীক্ষায় কিজেলেলমা দৃষ্টিসীমার বাইরে থাকা জেটচালিত লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে আঘাত হানে। ভিডিওটি প্রকাশ করেছে টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

বাইকার জানিয়েছে, কিজেলেলমা দেশেই তৈরি জিওকডোয়ান নামের আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। এটি প্রথমে এসেলসানের মুরাদ এইএসএ রাডার দিয়ে লক্ষ্য শনাক্ত করে এবং পরে ডান-বাম পাখার নিচ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে।

এটি তুরস্কের আকাশ প্রতিরক্ষায় এক ঐতিহাসিক অর্জন। একই প্ল্যাটফর্ম থেকে দেশীয় রাডার ও দেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে আকাশযুদ্ধে কাজে লাগানো হয়। পরীক্ষায় তুরস্কের মেরজিফন বিমানঘাঁটি থেকে কিজেলেলমার সঙ্গে পাঁচটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান অংশ নেয়। ফলে ভবিষ্যতে মানুষবাহী ও মনুষ্যবিহীন উভয় ধরনের বিমানের যৌথ আকাশযুদ্ধ কেমন হতে পারে, তা দেখানো হয়।

কিজেলেলমা রাডারে কম ধরা পড়ে এবং উন্নত সেন্সরব্যবস্থার মাধ্যমে দূর থেকে শত্রুবিমান শনাক্ত করতে সক্ষম। এতে মুরাদ রাডার ছাড়াও টয়গান টার্গেটিং সিস্টেমসহ বহু দেশীয় প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়েছে।

আগে কিজেলেলমা ভূমিভিত্তিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার সক্ষমতা দেখিয়েছে। এবার আকাশ থেকে আকাশেও সফল হওয়ায় এটি আকাশযুদ্ধে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।

প্রতিষ্ঠানটি ২০০৩ সাল থেকে নিজস্ব অর্থায়নে ইউএভি উন্নয়ন করছে। আজ বাইকার বিশ্বের শীর্ষ ড্রোন রপ্তানিকারকগুলোর একটি। ২০২৩ সালে তারা ১.৮ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ে অর্জন করে এবং ২০২৪ সালেও সেই ধারা বজায় রাখে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে