আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সৌদি যুবরাজের মাধ্যমে ইরানকে তিনটি বার্তা পাঠালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাও আবার, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ সম্পূর্ণ বন্ধ, মধ্যপ্রাচ্যে মিত্র গোষ্ঠীর সমর্থন বন্ধ, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কার্যক্রমে সীমাবদ্ধতার মতো শর্ত। তবে সেগুলো নাকচ করে দিয়েছে তেহরান।
সাংহাই কোঅপারেশন অরগানাইজেশনের (এসসিও) সঙ্গে পাঁচ দিনের যৌথ সন্ত্রাসবিরোধী মহড়া শুরু করেছে ইরান রেভলিউশনারি গার্ডস (আইআরজিসি)। মহড়ার লক্ষ্য ছিল সীমান্ত অতিক্রমকারী সন্ত্রাসী চক্রের বিরুদ্ধে যৌথ প্রতিক্রিয়া, তথ্য ভাগাভাগি এবং দ্রুত পদক্ষেপের সক্ষমতা বৃদ্ধি।
এ বিষয়ে আইআরজিসি মুখপাত্র জানান, ইসরাইল নতুন আগ্রাসন শুরু করলে আরও কঠোর জবাব পাবে।
এরমধ্যেই, সৌদি যুবরাজের মাধ্যমে ইরানকে তিনটি শর্ত দিয়ে বার্তা পাঠিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তবে সেগুলো নাকচ করে দিয়েছে তেহরান। এতে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক চাপ উভয়ই বাড়ছে বলে মনে করছেন অনেকে।
ইরানের এক পার্লামেন্ট সদস্য নিশ্চিত করেছেন, ট্রাম্প সৌদি যুবরাজের মাধ্যমে তিন শর্ত দিয়েছেন। ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ সম্পূর্ণ বন্ধ, মধ্যপ্রাচ্যে মিত্র গোষ্ঠীর সমর্থন বন্ধ এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কার্যক্রমে সীমাবদ্ধতা।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তোশিমিৎসু মটেগিকে বলেছেন, ইরানীয় কূটনীতির আস্থা পুনরুদ্ধারের দায়িত্ব যুক্তরাষ্ট্রের। এসময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে সততার ভিত্তিতে কথাবার্তা শুরু করার আহ্বান জানান।
এদিকে, জাতিসংঘে ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি মার্কিন নীতিকে বিশ্ব শান্তির প্রধান হুমকি হিসেবে অভিহিত করেছেন। একইসঙ্গে প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান তুরস্কে পরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মুসলিম দেশগুলোর ঐক্য ও সহযোগিতা জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন।