এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : শেষকৃত্যের আয়োজন কোনো মানুষের নয়, ভারতে শেষকৃত্যের আয়োজন চলছে পেঁয়াজের। এ বছর বাংলাদেশে পেঁয়াজের রেকর্ড উৎপাদনের কারণে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা চড়া দামে রপ্তানি করতে না পেরে হয়েছেন কার্যত পথে বসা।
কেজি দুই রুপিতেও কেউ পেঁয়াজ কিনছে না দেশটিতে। সেই হতাশা, রাগ–ক্ষোভ থেকেই অভিনব এই প্রতিবাদ। মধ্যপ্রদেশে কৃষকরা ঘটা করে আয়োজন করছেন পেঁয়াজের প্রতীকী শেষকৃত্যের। যে ভিডিও ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
চলতি বছরে বাংলাদেশে গত কয়েক বছরের তুলনায় রেকর্ড পরিমাণ পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। সরকারি সংস্থাগুলোর দাবি, দেশে এখন পেঁয়াজের কোনো ঘাটতি নেই। কৃষকদের স্বার্থ রক্ষা এবং উৎপাদন বাড়াতে সরকার এ বছর পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রাখে। আর এই সিদ্ধান্তের নেতিবাচক প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের মান্দাসৌর এলাকায়। দাম না পেয়ে এবং বাংলাদেশ নামের বড় ক্রেতাকে হারিয়ে স্থানীয় কৃষকরা তাদের ফসলের প্রতীকী অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া করেন।
বাংলাদেশের বাজারে যখন নতুন দেশি পেঁয়াজে স্বস্তির হাওয়া বইছে, তখন সীমান্তের ওপারে এক ভয়াবহ চিত্র। মধ্যপ্রদেশের মান্দাসৌরে পেঁয়াজের দাম নেমেছে ঐতিহাসিক নিম্নতম পর্যায়ে। কেজিপ্রতি মাত্র দুই রুপি—তবুও মিলছে না ক্রেতা। ক্ষুব্ধ কৃষকরা রাস্তায় পেঁয়াজের বস্তা ফেলে দিচ্ছেন, এমনকি আয়োজন করছেন পেঁয়াজের শেষকৃত্যও। তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশের রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাজারে অতিরিক্ত সরবরাহ তৈরি হয়েছে, আর সেই জোড়াতেই এমন দরপতন।।
কেজি দুই রুপিতেও কেউ পেঁয়াজ কিনছে না দেশটিতে। সেই হতাশা, রাগ–ক্ষোভ থেকেই অভিনব এই প্রতিবাদ। মধ্যপ্রদেশে কৃষকরা ঘটা করে আয়োজন করছেন পেঁয়াজের প্রতীকী শেষকৃত্যের। যে ভিডিও ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
চলতি বছরে বাংলাদেশে গত কয়েক বছরের তুলনায় রেকর্ড পরিমাণ পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। সরকারি সংস্থাগুলোর দাবি, দেশে এখন পেঁয়াজের কোনো ঘাটতি নেই। কৃষকদের স্বার্থ রক্ষা এবং উৎপাদন বাড়াতে সরকার এ বছর পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রাখে। আর এই সিদ্ধান্তের নেতিবাচক প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের মান্দাসৌর এলাকায়। দাম না পেয়ে এবং বাংলাদেশ নামের বড় ক্রেতাকে হারিয়ে স্থানীয় কৃষকরা তাদের ফসলের প্রতীকী অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া করেন।
বাংলাদেশের বাজারে যখন নতুন দেশি পেঁয়াজে স্বস্তির হাওয়া বইছে, তখন সীমান্তের ওপারে এক ভয়াবহ চিত্র। মধ্যপ্রদেশের মান্দাসৌরে পেঁয়াজের দাম নেমেছে ঐতিহাসিক নিম্নতম পর্যায়ে। কেজিপ্রতি মাত্র দুই রুপি—তবুও মিলছে না ক্রেতা। ক্ষুব্ধ কৃষকরা রাস্তায় পেঁয়াজের বস্তা ফেলে দিচ্ছেন, এমনকি আয়োজন করছেন পেঁয়াজের শেষকৃত্যও। তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশের রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাজারে অতিরিক্ত সরবরাহ তৈরি হয়েছে, আর সেই জোড়াতেই এমন দরপতন।
বাংলাদেশের মাঠে অবশ্য চিত্র ভিন্ন। মৌসুমের শুরু থেকেই নতুন পেঁয়াজে ভালো দামের আশা করছেন স্থানীয় চাষিরা। সামনে আসছে মুড়িকাটা পেঁয়াজের জোগান, যা রবি মৌসুমে দেশের মোট উৎপাদনের প্রায় ৭০ শতাংশ জোগান দেয়। এর ফলে তিন থেকে পাঁচ মাস বাজার স্থিতিশীল থাকে। পাশাপাশি খারিফ–১ মৌসুমের পেঁয়াজও যুক্ত হওয়ায় সারা বছরই দেশীয় সরবরাহ বজায় থাকে। স্বাভাবিকভাবেই আমদানির প্রয়োজন নাটকীয়ভাবে কমে এসেছে।
ভারতের গণমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে,বাংলাদেশ আগে ভারতের মোট পেঁয়াজ রপ্তানির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কিনত। এবার সেই দরজা বন্ধ। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশের উৎপাদনক্ষমতা বেড়ে যাওয়ায় কৃষকের স্বার্থেই আমদানি বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে ভারতের পাইকারি বাজারে পচে যাচ্ছে বিশাল পরিমাণ পেঁয়াজ।
ভারতীয় ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর দাবি, রপ্তানি বন্ধ থাকাই এই সংকটের মূল কারণ। অন্যদিকে বাংলাদেশের কৃষকেরা এখন অনেকটাই নিশ্চিত যে, দেশীয় উৎপাদনেই অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে বাজার স্থিতিশীল রাখা যাচ্ছে।