আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম যেন ছুটছে রেকর্ড ভাঙার দৌড়ে। কয়েক মাস ধরে ধীরে ধীরে ঊর্ধ্বমুখী এই মূল্য হঠাৎ করেই যেন রকেটের গতিতে উঠে দাঁড়িয়েছে নতুন এক উচ্চতায়।
মূলত ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্য উত্তেজনা এবং ডলারের মান পতনের ফলে বিনিয়োগকারীদের মাঝে এক ধরনের ভয় ও নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করেছে। এমন প্রেক্ষাপটে বহুদিন ধরে পরীক্ষিত নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে পরিচিত স্বর্ণই হয়ে উঠেছে তাদের প্রথম পছন্দ।
যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যযুদ্ধের পুনরায় উত্তেজনা, ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অব্যাহত অবস্থা বিশ্ব অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।
এই পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে স্বর্ণে বিনিয়োগ বাড়িয়েছেন। মার্কিন ডলারের দুর্বলতা স্বর্ণের চালিকাশক্তি। ফেডারেল রিজার্ভের নীতিগত অনিশ্চয়তা এবং সুদের হার কমানোর ইঙ্গিত ডলারের ওপর চাপ ফেলেছে। স্বর্ণের দাম সাধারণত ডলারের বিপরীতে চলে—ডলার দুর্বল হলে স্বর্ণের দাম বাড়ে।
এই মুহূর্তে ডলারের মান তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন, যা স্বর্ণের আকর্ষণ বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করেন, এমনকি তার অপসারণের গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে। যা বাজারে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে। এই অনিশ্চয়তা বিনিয়োগকারীদের স্বর্ণে বিনিয়োগে উৎসাহিত করেছে।
শুধু ব্যক্তি বিনিয়োগকারীই নয়, বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকও স্বর্ণে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। আন্তর্জাতিক স্বর্ণ কাউন্সিলের তথ্যানুযায়ী, ২০২৪ সালের বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো বিপুল পরিমাণে স্বর্ণ কিনেছে। এই প্রবণতা ২০২৫ সালেও অব্যাহত আছে।