এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ২০২৫ সালে বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেটে মানুষের আগ্রহ মূলত রাজনীতি, প্রযুক্তি, বিনোদন ও ক্রীড়ার পরিচিত ব্যক্তিদের প্রতি কেন্দ্রীভূত হয়েছে।
প্লেয়ার্স টাইমের অনলাইন ডাটা বিশ্লেষণ অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি সার্চ হওয়া ব্যক্তির তালিকার শীর্ষে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রতি মাসে তার নাম গড়ে প্রায় ১.৬ কোটিবার গুগলে খোঁজা হয়েছে।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে আছেন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক। বৈদ্যুতিক গাড়ি, মহাকাশ গবেষণা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সংক্রান্ত তার কর্মকাণ্ডের কারণে মাসিক সার্চ সংখ্যা প্রায় ১.১ কোটি। এই দুই ব্যক্তির অবস্থানই প্রমাণ করছে, বৈশ্বিক রাজনীতি ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব এখনো শক্তিশালী।
এবারের তালিকায় সংগীত শিল্পের তারকাদের উপস্থিতি বিশেষভাবে চোখে পড়েছে। শীর্ষ ১০ ব্যক্তির মধ্যে অর্ধেকই সংগীত জগতের প্রতিনিধি। টেলর সুইফট, সাবরিনা কার্পেন্টারসহ কিছু সমসাময়িক তারকা এবং প্রয়াত র্যাপার এক্সএক্সএক্সটেনটাসিওনও তালিকায় স্থান পেয়েছেন। স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের প্রসার ও বিশ্বব্যাপী ফ্যানবেজ সংগীতশিল্পীদের জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনের তারকারাও পিছিয়ে নেই। আন্তর্জাতিক ওটিটি প্ল্যাটফর্মের কারণে বিভিন্ন দেশের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের বৈশ্বিক দর্শকের নজরে আসার প্রভাব সার্চ সংখ্যায় দেখা গেছে।
ক্রীড়াঙ্গনে পরিচিত খেলোয়াড়রাই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন। ফুটবল তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো আবারও সবচেয়ে বেশি সার্চ হওয়া ক্রীড়াবিদদের একজন। নতুন চমক হিসেবে শীর্ষ সার্চ তালিকায় স্থান করেছেন স্পেনের তরুণ ফুটবলার লামিন ইয়ামাল।
ধর্মীয় নেতা পোপ ফ্রান্সিস এবং বিভিন্ন আলোচিত অপরাধমূলক ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরাও সার্চ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছেন। বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দীর্ঘমেয়াদী জনপ্রিয়তার চেয়ে হঠাৎ ঘটে যাওয়া বড় ঘটনা বা সংবাদই বেশি সার্চ বাড়িয়েছে।
ভৌগোলিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি সার্চ হওয়া ১০০ ব্যক্তির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য স্পষ্ট। শীর্ষ ১০ জনের মধ্যে ছয়জনই আমেরিকান। তবে দেশভেদে আগ্রহের ধরন ভিন্ন: স্পেনে টেনিস খেলোয়াড়রা, ব্রাজিলে ফুটবলাররা, আর জার্মানি ও দক্ষিণ কোরিয়ায় রাজনৈতিক নেতারা সবচেয়ে বেশি সার্চ হয়েছেন। সূত্র: গালফ নিউজ