মঙ্গলবার, ০৮ মার্চ, ২০১৬, ০৩:০৫:২৭

নিউইয়র্কে মুসলমানদের লাশ দাফন করতে খরচ ৬-৮ হাজার ডলার!

নিউইয়র্কে মুসলমানদের লাশ দাফন করতে খরচ ৬-৮ হাজার ডলার!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নিউ ইয়র্ক শহরে প্রায় ১০ লাখ মুসলমান বসবাস করলেও সেখানে লাশ দাফনের সুব্যবস্থা নেই। একক কোনো কবরস্থান না থাকায় খ্রিষ্টান ও ইহুদিদের সাথে যৌথ একটি কবরস্থানে লাশ দাফন করতে হয় মুসলমানদের।

এ ছাড়া নিউ ইয়র্কে লাশ দাফনে যে পরিমাণ অর্থ খরচ হয় তা অনেক মুসলমান পরিবারের সামর্থ্যরে বাইরে। এ কারণে এ শহরের মুসলমানদের অনেকেই ক্ষোভের সাথে বলেন, ‘আমাদের মরার জন্যও সামর্থ্যবান হতে হয়।’

নগরীর ব্রুকলিন এলাকার ডেকালব এভিনিউয়ে পিরো ফিউনারেল হোম নামে একটি কবরস্থান রয়েছে যেখানে ইহুদি, খ্রিষ্টান ও মুসলমানদের জন্য আলাদা আলাদা সেকশন রয়েছে। বিংশ শতাব্দির শুরুর দিকে স্থাপিত এই সমাধিক্ষেত্রে মুসলমানদের সেকশনটির নাম রাখা হয়েছে ইসলামিক ফিউনারেল সার্ভিস। এই বিভাগটির প্রধান তুর্কি বংশোদ্ভূত আমেরিকান আহমদ কারগি। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এখানে লাশ দাফনের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘(সঙ্কটের কারণে) আমরা প্রায়ই নিউ জার্সির স্টেট মেমোরিয়াল পার্কের কবরস্থান ব্যবহার করি। এ ছাড়া লং আইল্যান্ডে একটি ছোট মুসলিম কবর স্থান রয়েছে। তবে এসব জায়গায় লাশ দাফন করতে ৬ থেকে ৮ হাজার মার্কিন ডলার খরচ হয়। শহরের ভেতরে দাফন করতে হলে কখনো ১৪ হাজার ডলার পর্যন্ত খরচ হয়, ইসলামের দৃষ্টিতে যা খুবই ব্যয়বহুল। কাজেই আমরা সবচেয়ে সাশ্রয়ী জায়গাটি ব্যবহার করি।

প্রায় এক দশক ধরে নিউ ইয়র্কে লাশ দাফন কাজের সাথে জড়িত আবু ইব্রাহিম (২৮)। ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত এই যুবক বলেন, ‘মৃত্যু অনিবার্য বাস্তবতা, তাই লাশ দাফন প্রক্রিয়া এত কঠিন ও ব্যয়বহুল হওয়া উচিত নয়। আমাদের নিজস্ব একটি করবস্থান তৈরির জন্য নিউ ইয়র্কের মুসলমান সম্প্রদায়কে একযোগে কাজ করা উচিত। আমরা অন্যদের সমাধিক্ষেত্রের ওপর নির্ভরশীল, যা অনেক ব্যয়বহুলও। যদি আমাদের নিজস্ব একটি কবরস্থান থাকে তাহলে আমরা এই নিশ্চয়তা দিতে পারি যে, লাশ দাফন করতে মৃতের স্বজনদের এত অর্থ খরচ করতে হবে না।

নিউ ইয়র্কের যেসব মুসলিম পরিবার লাশ দাফনে সামর্থ্যবান নয় তাদের সহায়তার জন্য আবু ইব্রাহিম ‘জানাজা প্রজেক্ট’ নামের একটি অলাভজনক সংগঠন গড়ে তুলেছেন। এই সংগঠন তহবিল সংগ্রহ করে এসব পরিবারকে লাশ দাফনে আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে।

নিউ ইয়র্কে বিভিন্ন দেশের মুসলমান রয়েছে। তবে দেশ ও সংস্কৃতি আলাদা হলেও ইসলাম ধর্মের ঐতিহ্য অনুযায়ী সবার দাফন পদ্ধতি একই ধরনের। সূত্র : আলজাজিরা ও নয়াদিগন্ত

৮ মার্চ, ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে