আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মুসলিম ইস্যু নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মার্কো রুবিওর মধ্যে বিতর্ক হয়ে গেল। মাঝখানে উঠে এলো বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। এ দুজনই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী। ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসলামবিদ্বেষী মন্তব্য দিয়ে আলোচিত তামাম দুনিয়াজুড়ে।
আর এ বিতর্কের একপর্যায়ে মার্কো রুবিও বাংলাদেশের মুসলিমদের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন। ট্রাম্পের মন্তব্যে মুসলিম দেশগুলোতে কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে সে কথাও স্মরণ করিয়ে দেন। আর এ বিতর্কের শুরু সিএনএনে ট্রাম্পের দেয়া এক সাক্ষাৎকারে। সেখানে ট্রাম্প মন্তব্য করেছিলেন, ইসলাম আমাদের ঘৃণা করে। রিপাবলিকান বিতর্কে ওই মন্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি কী ১৬০ কোটি মুসলিমের কথা বলছেন?
ট্রাম্প এর জবাবে বলেন, আই মিন এ লট অব দেম বা তাদের অনেকের কথাই আমি বোঝাতে চেয়েছি। শেষমেশ ট্রাম্প বলেন, তার করা ওই মন্তব্যের পক্ষে তিনি অটল। সঞ্চালক তখন এ ইস্যুতে অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী মার্কো রুবিওকে প্রশ্ন করেন।
রুবিও বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প যেসব কথা বলেন তাতে অনেক মানুষই আকর্ষণ খুঁজে পান। কিন্তু সমস্যা হলো প্রেসিডেন্টরা ইচ্ছামতো যা খুশি তা বলতে পারেন না। কারণ, এসব কথার পরিণতি সুদূরপ্রসারী। প্রতিক্রিয়া হয় এখানে এবং বিশ্বজুড়ে।
এরপরই তিনি বাংলাদেশের উদাহরণ টানেন। বলেন, দুদিন আগে দারুণ এক দম্পতির সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়। তারা বাংলাদেশে মিশনারি হিসেবে কাজ করেন। মিশনারিদের জন্য এটা কঠিন কর্মস্থল। এটা একটি মুসলিম দেশ। তাদের নিরাপত্তা অনেকখানি নির্ভর করে এখানকার বন্ধুভাবাপন্ন মুসলিমদের ওপর, যারা তাদের পাশে বসবাস করেন। তারা হয়তো ধর্মান্তরিত হন না। কিন্তু মিশনারিদের সুরক্ষিত রাখেন। নিশ্চিতভাবে তাদের ভালো-মন্দ খেয়াল রাখেন।
রুবিও আরও বলেন, ওই দম্পতি তাকে বলেছেন, আমেরিকা থেকে যখন খবর আসে বিশ্ব রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা মন্তব্য করছেন যে, আমেরিকা মুসলিমদের পছন্দ করে না, তখন তাদের কর্মস্থল ক্রমেই প্রতিকূল হয়ে ওঠে। কাজেই এটা সত্যিকারের প্রভাব। মুসলিমদের প্রসঙ্গে রুবিও আরও বলেন, মুসলিমরা সবাই উগ্রপন্থি নয়। উগ্রপন্থিরা ইসলাম ধর্মের জন্য সমস্যা। যারা উগ্রপন্থি নয় সেসব মুসলিমের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কাজ করতে হবে। -এম.জমিন
১২ মার্চ, ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস