শনিবার, ১২ মার্চ, ২০১৬, ১০:৫২:৪৯

বাংলাদেশি মুসলমানদের প্রতি ভারতের কঠোর পদক্ষেপ

বাংলাদেশি মুসলমানদের প্রতি ভারতের কঠোর পদক্ষেপ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আসামের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ‌‘বাংলাদেশি মুসলামানদের’ বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে ভারতের বর্তমান ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। তারা বলেছেন, বাংলাদেশি মুসলিমদের শর্ণারর্থী হয়েই থাকতে হবে।

২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগেও বাংলাদেশ থেকে আসামে যাওয়া মুসলমানদের বিরুদ্ধে লাগামছাড়া বক্তব্য দিতে শুরু করেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)৷ তখন বিজেপির কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতাও বলেছেন, বিজেপি যদি সরকার গঠন করে তাহলে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া মুসলমানদের বাংলাদেশে ফিরে যেতে হবে। এ জন্য ‘বাংলদেশি মুসলমানদের' বাক্স-প্যাটরা গোছানোর কথাও বলা হয়েছিল তখন।

আগামী এপ্রিলে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও আসামসহ মোট পাঁচটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। আসামে নির্বাচন হবে ৪ঠা ও ১১ই এপ্রিল৷ পশ্চিমবঙ্গে ৪ঠা এপ্রিল থেকে শুরু করে সাতদিন ধরে চলবে ভোট।

আসন্ন এই নির্বাচনকে ঘিরে আসামে আবার ‘বাংলদেশি মুসলমান' ইস্যুকে সামনে নিয়ে এসেছে বিজেপি। হিন্দুত্ববাদী দলটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আসামে এবারের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হলে ১৯৭১-এর পরে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া মুসলমানদের চিহ্নিত করে বাংলাদেশে পাঠানো হবে।

আসামের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির নির্বাচনি প্রচার দেখভাল করার সার্বিক দায়িত্ব পেয়েছেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। বাংলাদেশ থেকে যাওয়া মুসলমানদের বিরুদ্ধে তার দলের সাম্প্রতিক বক্তব্যের পক্ষে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বললেন, ‘ওদের (বাংলাদেশি মুসলমান) আসল লক্ষ্য ধীরে ধীরে পুরো রাজ্য দখল করা এবং আমাদের (হিন্দু) কণ্ঠ এবং সংস্কৃতিকে দমন করা৷ এ কারণে এবারের নির্বাচনটা হবে আগেকার সাম্প্রদায়িক অপপ্রচারবিরোধী।’

তিনি জানান, বিজেপির আপত্তি শুধু বাংলাদেশ থেকে যাওয়া মুসলমানদের বিষয়ে। তার মতে ‘প্রকৃত ভারতীয় মুসলমানরা' বিজেপির সঙ্গেই আছে।

বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আসামে বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হলে তারা ১৯৭১-এর পরে যাওয়া বাংলাদেশি মুসলমানদের ফেরত পাঠাবে। আর ১৯৫০ থেকে ১৯৭১-এর আগে যেসব মুসলমান বাংলাদেশ, অর্থাৎ তখনকার পূর্ব পাকিস্তান থেকে গেছেন, তাদের ভারতেই রাখা হবে; তবে তাদের পূর্ণ নাগরিকের মর্যাদা না দিয়ে শরণার্থীর মর্যাদা দেয়া হবে৷

১৯৫০ থেকে ১৯৭১-এর আগে যাওয়া মুসলমানদের প্রসঙ্গে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, ‘১৯৭১-এর আগে প্রায় ২০ লক্ষের মতো শরণার্থী এসেছে। তারা এবং তাদের উত্তরসূরিরা অর্থনীতি এবং শিক্ষায় উন্নতি করুক। তবে তাদের শরণার্থীর মর্যাদাই পাওয়া উচিত। কেউ যদি আবেদন জানিয়ে নাগরিকত্ব পেয়ে যায়, সেটা অন্য ব্যাপার।’ সূত্র : ডয়েচ ভেলে
১২ মার্চ, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে