সোমবার, ১৪ মার্চ, ২০১৬, ১২:০২:১৯

রাসূল (সা.)কে গ্রেপ্তারের ধৃষ্টতা দেখানো সেই মন্ত্রী বরখাস্ত

রাসূল (সা.)কে গ্রেপ্তারের ধৃষ্টতা দেখানো সেই মন্ত্রী বরখাস্ত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মানবতার মুক্তির দূত মহানবী (সা.)-কে ‘গ্রেপ্তার’র চরম ধৃষ্টতাপূর্ণ মন্তব্যকারী মিশরীয় বিচারমন্ত্রী আহমেদ আল-জেন্দকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

শুক্রবার টেলিভিশনে এক আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করলে নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। তার পদত্যাগের জোর দাবি ওঠে। পরে অবশ্য তিনি ক্ষমা চান।

রবিবার মিশরের প্রধানমন্ত্রী শরীফ ইসমাইল তাকে বরখাস্ত করেন।  সরকারি এক ডিক্রিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শরীফ ইসমাইল আহমেদ আল জেন্দকে অব্যাহতি দিয়েছেন। তবে ডিক্রিতে এ সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হয়নি।

শুক্রবার একটি বেসরকারি টিভির আলোচনা সভায় জেন্দকে জিজ্ঞাসা করা হয়: সাংবাদিকদেরও তিনি গ্রেপ্তার করবেন কিনা।

‘মহানবী সা. হলেও’ বলে ফেলেন জেন্দ। তবে তিনি এরপর দ্রুত নিজেকে সামলে নেন এবং বলেন অপরাধ পাওয়া গেলে যে অবস্থানেই থাকুক না কেন গ্রেপ্তার করা হবে।

জেন্দ বলেন, এমনকি বিচারকদেরও কারাবন্দি করা হয়। কোনো সাংবাদিক কিংবা শিক্ষককে কারাবন্দি করার বিষয় নিয়ে আমি আলোচনা করব না, আমি অভিযুক্তকে কারাবন্দি করার কথা বলছি, আমি তাদের কোনো টাইটেল দিতে  চাই না।

অনলাইনে জেন্দের এ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানানো হয়। আরবিতে ‘ মহানবী নয়, আল-জেন্দের বিচার চাই’ নামে একটি হ্যাশট্যাগ এবং তার বক্তব্যের ভিডিও ব্যাপকভাবে শেয়ার হয়।

মিশরে ইসলামী শিক্ষার সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান আল-আজহার কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতি দিয়ে বলেছে, মহানবী সা. সম্পর্কে অবমাননাকর বক্তব্য ভুলেও দেয়া যায় না।

চরম সমালোচনার মধ্যে জেন্দ নিজেই একটি টেলিভিশন টক শোতে টেলিফোন করেন বলেন, আমি বলেছি ‘যদি’- যারা এই শব্দটির মানে জানেন তারা জানেন যে এটি অনুমাননির্ভর কথা… এ মন্তব্যের কোনো  মানে নেই- তা সত্ত্বেও আমি আমার খাঁটি ধর্মীয় অনুভূতি থেকে তাৎক্ষণিকভাবে অনুতাপ প্রকাশ করেছি।

জেন্দ অভিযোগ করেন মুসলিম ব্রাদারহুড তার বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে এবং মিশরীয় গণমাধ্যম এবং সামাজিক গণমাধ্যম তাদের বিদ্বেষপ্রসূত প্রচারণার হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে।

গত জানুয়ারিতে মিশরের কয়েক সেনা সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হলে জেন্দ বলেন, নিহত সেনাদের হত্যার প্রতিশোধে ৪ লাখ ব্রাদারহুড কর্মী খতম না করা পর্যন্ত তার বুকের আগুন নিভবে না।


মিশরের বর্তমান স্বৈরশাসক আবদুল ফাত্তাহ আল-সিসি ২০১৩ সালের জুলাইয়ে বন্দুকের নলের মাথায় ক্ষমতা দখলের পর থেকে দেশটির বৃহত্তম রাজনৈতিক দল মুসলিম ব্রাদারহুডের ওপর আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে বর্বর হত্যাযজ্ঞ চাপিয়ে দিয়েছে।
১৪ মার্চ ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে