শুক্রবার, ১৮ মার্চ, ২০১৬, ০৬:১৩:৫৯

মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ মা হাসপাতালে

মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ মা হাসপাতালে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দুষ্কৃতিকারীদের হাত থেকে মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হলেন মা৷ আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ মেয়েটির বাবাকেও কোপানো হয়েছে৷ বুধবার মাঝরাতের ভারতের কলকাতার ক্যানিংয়ের জীবনতলা এলাকার এ ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ সোমনাথ সর্দার নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে৷ সে দাবি করেছে, মেয়েটির সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল৷ মেয়েটি অবশ্য সেই দাবি উড়িয়ে পাল্টা অভিযোগ করে, স্কুলে যাওয়ার সময় ওই যুবক তাকে উত্ত্যক্ত করত৷

স্থানীয় সূত্রের খবর, জীবনতলার এক গ্রামের বাসিন্দা আর এক মাছ ব্যবসায়ীর ছেলে-মেয়ে তারা দুজন৷ মেয়েটি নবম শ্রেণিতে পড়ে৷ ছেলে পড়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে৷ ব্যবসায়ী দরমার ছেলে এবং স্ত্রীকে নিয়ে ঘরেই ঘুমোচ্ছিলেন৷ মেয়েটি ছিল পাশের ঘরে৷ সোমনাথ এবং তার এক বন্ধু দরমার দরজা ভেঙে মেয়েটির ঘরে ঢোকে৷ তারা তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে৷ মেয়েটি আতঙ্কে চিত্কার করতে থাকে৷ মেয়ের চিত্কার শুনে বাবা -মা পাশের ঘর থেকে ছুটে আসে দেখতে পান, তারা দু'জনে মিলে মেয়েকে পাঁজাকোলা করে নিয়ে যাচ্ছে৷

ওই দৃশ্য দেখে স্বামী-স্ত্রী দু'জনেই দুই দুষ্কৃতীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন৷ মহিলার হাতে ছিল তখন একটি কাটারি তা দিয়ে একজনকে মারতে যাবেন এমন সময় এক জন অন্য জনকে বলে, 'গুলি করে দে৷ মারে ফেল সবাইকে৷' তার পরই সে হাতের ওয়ান শটার থেকে গুলি চালায়৷ গুলি এসে লাগে মহিলার পেটে৷ তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন৷ ইতিমধ্যে তার স্বামী দু'জনকেই জাপটে ধরে ফেলেন৷ মেয়ে এবং ছেলেও বাবাকে সাহায্য করে৷ চিত্কার চেঁচামেচিতে প্রতিবেশীরা চলে আসেন৷ দুই দুষ্কৃতিকারী কোনো মতে হাত ছেড়ে পালালেও তারা হাতের ওয়ান শটার এবং একটি বড় ছুরি ফেলে দিয়ে যায়৷

জীবনতলা থানার অধীনে ঘুটিয়ারি শরিফ পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তারা সকাল বেলায় আসেন৷ ততক্ষণে বাড়ির সামনে প্রচুর লোক জমা হয়ে গিয়েছে৷ তারা পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন৷ পুলিশ তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে৷ তদন্তকারীরা মেয়েটি এবং তার বাবার সঙ্গে কথা বলে৷ মেয়েটি পুলিশকে জানিয়েছে, সোমনাথকে সে চিনে৷ ওই যুবক তাকে স্কুলে যাওয়ার পথে মাঝে মাঝেই উত্ত্যক্ত করত৷ সে তাকে বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছিলে৷ কিন্তু মেয়েটি সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়৷

পুলিশ মনে করছে, সেই আক্রোশ থেকেই সম্ভবত সোমনাথ এই অপকর্ম করেছে৷ মেয়েটির দেয়া বয়ানমতো পুলিশ সোমনাথকে গ্রেন্তার করেছে৷ জেরায় সোমনাথ দাবি করেছে, মেয়েটিকে সে ভালোবাসত৷ বুধবার রাতে সে মেয়েটির কাছে গেলে তাকে ফিরিয়ে দেয়া হয়। তাই তাকে জোর করে নিয়ে আসতে চেয়েছিলেন। দ্বিতীয় যুবককে খোঁজার চেষ্টা করছে পুলিশ৷
১৮ মার্চ, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে