বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ, ২০১৬, ০৪:৩২:০৩

৪ বছরের শিশুকে নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের নয়া বিতর্ক

৪ বছরের শিশুকে নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের নয়া বিতর্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চার বছর বয়সী এক শিশু ভারত ও পাকিস্তানে তৈরি করেছে নতুন বিতর্ক। পাশাপাশি শিশুটির বাবা-মায়ের মধ্যেও চলছে এ নিয়ে দ্বন্দ্ব। ঘটনার কেন্দ্রে রয়েছে ইফতেখার আহমেদ নামে চার বছর বয়সী এক শিশু। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা যায়।

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের শ্রীনগরের গান্দেরবাল শহরের একটি কারাগারের পুলিশ হেফাজতে পাঁচদিন ধরে রয়েছে ওই শিশুটি। ওই শিশুটিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেনি কিন্তু শিশুটির বাবা গুলজার আহমেদ তন্ত্রয়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আর শিশু ইফতেখার আহমেদ তার বাবকে ছেড়ে যেতে অস্বীকার করে পুলিশ হেফাজতেই থাকতে চেয়েছে। মি: তন্ত্রয় গান্দেরবাল শহরেই বেড়ে উঠেছেন কিন্তু ১৯৯০ সালে তিনি পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে চলে যান।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি বিদ্রোহীদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিতেন, যেটি ভারতীয় আইনের পরিপন্থী। মি: তন্ত্রয় গত বৃহস্পতিবার তার শিশু ইফতেখারকে নিয়ে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে আসেন এবং শুক্রবার তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

অবশ্য গত মঙ্গলবার জামিনে মি: তন্ত্রয়কে ছেড়ে দেবার পর তার সাথে ইফতেখারও বের হয়েছে। কিন্তু পাশাপাশি তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক।

শিশু ইফতেখারের মা রোহিনি কায়ানি পাকিস্তানি নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে থেকেই অভিযোগ করেছেন যে তাঁর স্বামী তার সন্তানকে অপহরণ করে ভারতে পালিয়ে গেছেন।

যদিও মি: তন্ত্রয়ের পরিবার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। শিশুটির মা সংবাদাতার কাছে তার জীবন কাহিনী বর্ণনা করেন।

তিনি বলেন, ২০০২ সালে মি: তন্ত্রয়কে বিয়ে করেন তিনি। কিন্তু কোন সন্তান না হবার কারণে ২০১২ সালে ইফতেখারকে দত্তক নেন তারা।

গত ১২ই মার্চ তার স্বামী মি: তন্ত্রয় খাইবার পাখতুনখাওয়ায় একটি বিয়েতে যাবার উদ্দেশ্যে বের হলেও তারা বাড়ি ফিরেননি। কোথাও খোঁজ না পেয়ে পরদিন ভারতের কাশ্মীরে ফোন করে জানতে পারেন যে মি: তন্ত্রয় সেখানে।

রোহিনি কায়ানি অবাক হয়ে বলছিলেন যে 'তিনি ভেবে পাননা কিভাবে সে ওই শহরে যাবার কাগজপাতি ঠিক করলো!'

এতসব কিছুর মধ্যে পুলিশও পড়েছিল দ্বিধার মধ্যে, শিশুটিকে নিয়ে কী করবে তারা? তবে মি: তন্ত্রয় জামিনে বের হয়ে যাবার পর অবশ্য কিছুটা স্বস্তি মিলেছে তাদের।
২৪ মার্চ, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে