বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ, ২০১৬, ০৫:২৮:৫০

মালয়েশীয় নিখোঁজ বিমানের ধ্বংসাবশেষ মোজাম্বিকে!

মালয়েশীয় নিখোঁজ বিমানের ধ্বংসাবশেষ মোজাম্বিকে!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অস্ট্রেলীয় বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন মোজাম্বিকে একটি বিমানের যে দু’টি ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে তা যে নিখোঁজ মালয়েশীয় বিমানেরই, তা ‘প্রায় নিশ্চিত’।

অস্ট্রেলিয়ার পরিবহনমন্ত্রী ড্যারেন চেস্টার জানিয়েছেন, ধ্বংসাবশেষগুলো পরীক্ষার পর বিশেষজ্ঞরা এগুলোকে নিখোঁজ মালয়েশীয় বিমানের বলেই মনে করছেন। সাগরের ঢেউ এই ধ্বংসাবশেষগুলো মোজাম্বিকে নিয়ে যায়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে পরীক্ষা করে দেখা গেছে ধ্বংসাবশেষগুলো বোয়িং ৭৭৭ এয়ারক্রাফটের, যারা ওই নিখোঁজ বিমানের নির্মাতা।

এক বিবৃতিতে ড্যারেন চেস্টার বলেন, 'বিশ্লেষণে এটি ‘প্রায় নিশ্চিত’ যে, ওই ধ্বংসাবশেষগুলো এমএইচ৩৭০ বিমানটিরই'।

মি: চেস্টার আরও জানান, অনুসন্ধান দল তাদের কাজ চালিয়ে যাবে। সাগরের আরো ২৫ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকায় অনুসন্ধান চালানো বাকি রয়েছে।

তিনি বলেন, 'আমরা আমাদের কাজ সম্পন্ন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ আর বিমানটি খুঁজে পাওয়ার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী'। ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে মোজাম্বিকে একটি ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায়।

এছাড়া, দক্ষিণ আফ্রিকার একটি পরিবার গত বছর ডিসেম্বরে আফ্রিকার পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় ছুটি কাটাতে গিয়ে বিমানের একটি ধ্বংসাবশেষ দেখতে পান। পরে খবর পেয়ে অস্ট্রেলীয় কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল থেকে ধ্বংসাবশেষটি উদ্ধার করে।

তখন অস্ট্রেলীয় কর্তৃপক্ষ বলেছিল, ধ্বংসাবশেষটি হয়তো বোয়িং ৭৭৭-এর। কারণ ওই অঞ্চলে এমএইচ৩৭০ ছাড়া আর কোনো বোয়িং ৭৭৭ বিমান নিখোঁজ হয়নি।

দুই বছর আগে কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং যাবার পথে নিখোঁজ হয়েছিল মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের বিমান এমএইচ৩৭০। আজও হদিস মেলেনি সেই বিমানটির।

সন্ত্রাসীদের টার্গেট হওয়া, বিধ্বস্ত হয়ে সাগরের গভীরে তলিয়ে যাওয়া কিংবা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর মত হাওয়ায় মিলিয়ে যাওয়াসহ সব ধরণের অনুমান এবং অনুসন্ধান চালানো হয়েছে।

কিন্তু এখনো জানা যায়নি ঠিক কী ঘটেছিল বিমানটিতে, জানা যায়নি কী ঘটেছিল ২৩৯জন যাত্রীর ভাগ্যে।-বিবিসি
২৪ মার্চ, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে