আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মা-মাটি-মানুষ সরকারে কোটিপতি মন্ত্রী বেশ কয়েকজন। সেটাও আবার ৫ বছর আগের হিসেবে। ২০১১ সালের ভোটের সময়ে নির্বাচন কমিশনকে যে হিসেব জমা দিয়েছিলেন প্রার্থীরা, তার হিসেবই বলে দিচ্ছে কে কত ধনী। কিন্তু সবথেকে ধনী কে?
রাজ্যের আর্থিক অবস্থা ভাল নয় বলে বার বার বলেন মুখ্যমন্ত্রী থেকে অর্থমন্ত্রী। সম্পত্তির হিসেবে অর্থমন্ত্রী মন্ত্রিসভার সবাইকে টেক্কা দিয়েছেন। গত বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামা বলছে, তখন অমিত মিত্রের সম্পত্তি ছিল ৭ কোটি টাকার বেশি। নিয়ম অনুসারে এর মধ্যে অবশ্যই আছে তাঁর স্ত্রী মীরাদেবীর সম্পত্তিও।
এ ব্যাপারে একটি কথা মনে রাখা দরকার যে, গত বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হওয়ার মধ্য দিয়েই রাজনীতিতে আসেন বণিকসভা ফিকি-র প্রাক্তন সেক্রেটারি জেনারেল অমিত মিত্র। সুতরাং, এটা বলা যাবে না যে, রাজনীতি থেকেই তিনি এই উপার্জন করেছেন। আমেরিকার ডিউক ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি-প্রাপ্ত অর্থনীতিবিদ আগে ধনী হয়েছেন, পরে রাজনীতিতে এসেছেন।
তবে মন্ত্রিসভায় সবথেকে ধনী হওয়ার কৃতিত্ব অমিত মিত্র পেতেন না, যদি নুরে আলম চৌধুরী মন্ত্রিসভা থেকে বাদ না পড়তেন। বীরভূমের মুরারই কেন্দ্র থেকে জিতে প্রাক্তন বিচারক নুরে আলম চৌধুরী প্রাণিসম্পদ বিকাশ মন্ত্রী হন। তবে বেশি দিন ছিলেন না। এবার ভোটে তিনি টিকিটও পাননি। ২০১১ সালে তাঁর দেওয়া হিসেব বলছে মোট সম্পত্তি ছিল ৯ কোটি টাকার বেশি।
১৮ মার্চ, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন